‘সংস্কার নাকি নির্বাচন’ প্রসঙ্গে যা বললেন তারেক রহমান
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৮
‘সংস্কার নাকি নির্বাচন’ এ ধরনের জিজ্ঞাসাকে বিএনপি তথা দেশ প্রেমিক শক্তি, সকল মানুষ, সকল রাজনৈতিক দল স্রেফ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণীত কূটতর্ক বলেই বিবেচনা করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গুমের শিকার ও শহীদ হওয়া সহকর্মীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশ ও জনগণের কাঁধে চেপে বসে থাকা মাফিয়া স্বৈরাচারের অপমানজনক পলায়নের মাধ্যমে পার হলো ঐতিহাসিক ২০২৪। নিরপরাধ বাংলাদেশ গড়ার এক অপার সম্ভাবনা নিয়ে আরেকটি নতুন বছরের যাত্রা শুরু হলো আজ থেকে।’
এ সময় তিনি বীর ছাত্র জনতাকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমান বলেন, ‘নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছাত্রসমাজের সবার কাছে জনপ্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। মেধা মননে সংগঠনটি সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনমনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সক্ষম হয়েছে।’
তিনি বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগ আর তেজস্বী দীপ্ত সাহসী ভূমিকার কারণে মাফিয়া সরকারের পতন ও পলায়ন হয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে যাতে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট হওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
এ ব্যাপারে ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে সচেতন ও সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘মনে রাখা দরকার যে লোভ বা লাভের ঊর্ধে উঠে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাবলম্বী বাংলাদেশে গড়তে বিশেষ করে ছাত্র-তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি কার্যকর এবং প্রভাবশালী রাষ্ট্রের ভূমিকায় দেখতে চাইলে ও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন মর্যাদাবান নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকতে চাইলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের কোনো বিকল্প নেই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘কোনো কোনো মহল থেকে সংস্কার নাকি নির্বাচন?- এ ধরনের জিজ্ঞাসাকে বিএনপি তথা দেশপ্রেমিক শক্তি, সকল মানুষ, সকল রাজনৈতিক দল স্রেফ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণীত কুটতর্ক বলেই বিবেচনা করে। বরং বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন। বিদ্যমান ব্যবস্থা সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি অনিবার্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এমনি করে গণতন্ত্রকে টেকসই এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনী সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পন্থা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোটের অধিকার প্রয়োগের যে সুযোগটি পায়, যা রাষ্ট্রে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করে।’