০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩০, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সম্মেলন শুরু

সমাবেশমঞ্চে ছাত্র নেতৃবৃন্দ - ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় শুরু হয় এটি। শুরুতে জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

গতকাল সোমবার রাতে সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটির দফায় দফায় বৈঠক ও নানা নাটকীয়তার পর গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ মঙ্গলবার শহীদ মিনারে পূর্ব-ঘোষিত ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেয়া না হবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে, এ কর্মসূচি ঘিরে সাধারণ জনতা ও শিক্ষার্থীদের ঢল নেমেছে শহীদ মিনার এলাকায়। সমাবেশস্থল পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে মিছিল এসে উত্তাল হয়ে উঠে এলাকা।

অনুষ্ঠান বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে তা শুরু হয়। মঞ্চের দু’পাশে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত জায়গা রাখা হয়েছে।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে মঞ্চ থেকে মাইকে বিভিন্ন স্লোগান দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বলেন, ‘ক্ষমতা না জনতা? জনতা, জনতা; গোলামী না আজাদী? আজাদী, আজাদী; দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা; মুজিববাদ মূর্তাবাদ, মুজিবাদী সংবিধান থাকবে না রে থাকবে না; ২৪ এর বাংলায় মুজিবাদের ঠাঁই হবে না; জুলাইয়ের প্রেরণা দিতে হবে ঘোষণা’ ইত্যাদি।

সমাবেশে আগত সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের হাতে জুলাই-আগস্টের স্মৃতি ধারণ করে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে ২০০৯ সালের পিলখানার ঘটনা তুলে ধরেছে, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতের কর্মীরা ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা দেখানো হয়েছে, গুম হয়ে যারা ফিরে এসেছেন, তাদের বিবরণ, আয়না ঘরের বিবরণ, গুম হওয়া পরিবারের আর্তনাদ, ক্ষোভ ও দাবি তুলে ধরেছে প্রামাণ্য চিত্রে। সেইসাথে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে, গত ১৬ বছর বিএনপির ওপর কিভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে সেটিও ফুটে উঠেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত ফুটে উঠেছে এখানে। গত ৫ জুন কোটাবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে প্রথম ব্লকেড কর্মসূচি দেখানো হয়েছে, এরপর সরকারের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা-ক্ষোভ জানিয়ে ফুঁসে উঠে জনতা, এভাবে এ দফার মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়।

স্লোগানে ফাঁকে ফাঁকে নেতারা বলেন, ‘যারা জুলাই-আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের আগে অন্যকিছু চায়, তারা গণঅভ্যুত্থানের শত্রু। পাবলিক, প্রাইভেট, মাদরাসার কোনো ভাইকে আমরা ভুলি নাই, আমরা সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থান করেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement