২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজনীতিকে দু’ভাগ করা হয়েছে : জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের - নয়া দিগন্ত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, রাজনীতিকে দু‘ভাগ করা হয়েছে। একটা ভাগ দেশপ্রেমিক অন্তর্বর্তী সরকারের হিসেবে আর একটা ভাগ দেশপ্রেমিক নয় দেশদ্রোহী হিসেবে। আমরা তাদের হিসেব মতো দেশপ্রেমিক হবার কথা। আমরা আন্দোলনে ছিলাম, আমাদের অনেক কর্মী জেল খেটেছে, মামলা হয়েছে তাদের নামে। আমি নিজেও প্রতিদিন বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছি। সংসদে যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছি দেশের কোনো লোক তা সাহস করেনি।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর নগরীর নিউ সেনপাড়ায় পৈত্রিক নিবাস স্কাই ভিউতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে সড়ক পথে রংপুরে তার পৈত্রিক বাসভবনে এসে পৌঁছলে দলের নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

এ সময় মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির যুবসংহতি কেন্দ্রীয় নেতা হাসানুজ্জামান নাজিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তার সাথে ছিলেন।

জি এম কাদের বলেন, আমার ধারণা অন্তর্বর্তী সরকার ফাঁকা ফিল্ডে গোল দিতে চাচ্ছে। এখন ওনারা অনেক কথা বলেন, এটা জনগণের দাবি। জনগণ তাদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদেরটা চায়, ওনারা কিভাবে বুঝলেন? জনগণ কী চায়, কী চায় না ওনারা এখনো নির্বাচন করেনি। এখনো জনমত যাচাই হয়নি। নির্বাচন ছাড়া জনমত যাচাইয়ের কোনো অর্থ নাই। যারা করে তারা সব সময় নিরপেক্ষ থাকতে পারে না। কাজেই কোনঠাসা সেই অর্থে আমরা নেই।

জি এম কাদের আরো বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষে ওই ধরনের ঐক্যবদ্ধভাবে সংস্কার করা সম্ভব না। তারা কিছু সাজেশন দিয়ে যেতে পারেন রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থে সেটা ঠিক করবে। তাতে করে আমরা মনে করি, তারা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে চলে গেলে আমাদের সকলের জন্য ভালো হবে। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি এ দুটো দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে ভালো হবে না। কারণ এ দুটো দলের ভোটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তাহলে দু’দলের একটি দলকে বাদ দিলে অর্ন্তভুক্তিমূলক নির্বাচন হয় না। ওই নির্বাচনে জনগণের সত্যিকার প্রতিফলন আসে না। এটা হলো বাস্তবতা। এটাকে মেনে নিয়ে নির্বাচনে আসতে হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরো বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে বাকি সব দল নির্বাচন করলে নির্বাচনে জয় লাভ করা যায় কিন্তু সেই নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য হয় না। সত্যিকার অর্থে ওই নির্বাচনকে অবাধ নির্বাচনও বলা যায় না। তিনি বলেন, অবাধ নির্বাচন বলতে যেকোনো লোক বাধাহীনভাবে ভোট দিতে পারবে এবং বাধাহীনভাবে দাঁড়াতেও পারবে। সে কারণে বাধা সৃষ্টি করে প্রতিযোগী কমিয়ে দিয়ে পট করে কিছু হয়ে গেলাম সেটার ফল যে ভালো হয় না তার জলন্ত উদাহরণ আওয়ামী লীগ সেটা করতে গিয়ে বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে। তাদের যথাযথ জবাব জনগণ দিয়েছে। ভবিষতে কেউ যদি একই কাজ করে তাদেরও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে এ কারণে ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement