বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির একগুচ্ছ কর্মসূচি
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩৩, আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩৫
১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি, আহ্বায়ক সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যসচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
সভায় মহান বিজয় দিবস এবং শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে নেয়া কর্মসূচিগুলো হলো
১. মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী বিএনপির সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
২. মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ২টার দিকে আলোচনা সভা।
দিবসটি উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে (সংসদ ভবন) কনসার্ট।
৩. মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ভোরে বিএনপির জাতীয় নেতাসহ সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে বিএনপির জাতীয় নেতারাসহ সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
৪. এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে পোষ্টার প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ণ করে তা বাস্তবায়ন করবে।
৫. দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
৬. মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি
১. ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টননে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধঃনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় আগামীকাল ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বিকেল ২টার দিকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২. দিবসটি উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ৯টার দিকে বিএনপির জাতীয় নেতারাসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী মাজারে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন।
সভায় মহান বিজয় দিবস এবং শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে যৌথসভায় নেয়া কর্মসূচি সফল করতে ঢাকাসহ সারাদেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানানো হয়।
রিজভী বলেন, ‘বঞ্চনার তীব্র ক্ষোভ থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনে নেমেছিলেন এ দেশের জনগণ। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় সাধারণ একজন মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন হয়। বিজয়ের পর একইভাবে উপনিবেশের শাসকের মতো শাসন করতে থাকে ক্ষমতাসীনরা। বিরোধী পক্ষের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে, কণ্ঠ চেপে ধরে বাকশাল কায়েম করে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ১৮৮২ সালে ২৪ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্রকে আরেকবার হত্যা করা হয়। কথা বললেই সাত বছরের জেল, ঠিক এমন সময় উপনীত হলেন হলেন জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া। ৯ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম আর লড়াইয়ের মাধ্যমে ও ছাত্র জনতার সমন্বয়ে স্বৈরাচার পরাজিত হলে বিজয় আসে। আবার গণতন্ত্র ফিরে আসে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আবার ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গুম, খুন করে সবকিছু কোণঠাসা করে রেখেছিল। আমরা গুমের কথা জানতাম না, এই হাসিনার আমলে এটি হয়েছে দেশে। আমাদের শত শত নেতা-কর্মীকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে।
প্রত্যাশা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচনই গণতন্ত্র চর্চার জন্য উপাদান।