অপরিকল্পিত উন্নয়ন খাদ্য জোগানে সবচেয়ে বড় বাধা : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৬
অপরিকল্পিত উন্নয়ন খাদ্য জোগানে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অনিরাপদ কৃষিচর্চার ফলে আমরা নিরাপদ খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে পারছি না।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ’ এবং ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশে’-এর যৌথ আয়োজনে ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে এখনো খাদ্যের জন্য হাহাকার থেমে নেই। আমরা রেডিও, টিভি, ইউটিউব চ্যানেল এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি ফিলিস্তিনের গাজাতে শিশুরা খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে। সেখানে আমরা কীভাবে বলতে পারি ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রোটিন সাপ্লাইয়ের দিক থেকে সাপ্লাই সোর্স হিসেবে কাজ করছে। অনেকেই ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ফার্মের কথা বলে থাকেন কিন্তু এখনো দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চলে মহিলারা হাস, মুরগি, গরু, ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তায় নারীর লোকজ জ্ঞানকেও গুরুত্ব দেয়ার ওপর জোর দেন তিনি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘শস্য উৎপাদনে কীটনাশক ও হার্বিসাইড ব্যবহারের ফলে অসংক্রামক রোগ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ব্যাধি বেড়েই চলছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেলিগেশনস অব ইউরোপীয় ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড. মিহাল ক্রেইজা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কেয়া খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগারওয়ালসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, জিএইচআই একটি পিয়ার রিভিউড বার্ষিক প্রতিবেদন, যা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনটি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং দেশীয় স্তরে ক্ষুধার পরিমাণ পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। জিএইচআই চারটি মূল সূচকের ভিত্তিতে দেশগুলোকে র্যাঙ্কিং করে তা হলো অপুষ্টি, শিশু মৃত্যুহার, শিশু উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন ও শিশুর খর্বতা।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা