বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব : মুন্না
- অসীম আল ইমরান, লংমার্চ বহর থেকে
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৩
যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব।
আজ বুধবার দুপুরে দেড়টায় ভৈরব মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চে ভৈরবে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ লংমার্চ করছে। লংমার্চটি ভৈরব ব্রিজ পার হয়ে আখাউড়ামুখী যাত্রা করেছে।
জানা গেছে, লংমার্চ বহরে দুই হাজারের বেশি গাড়ি আছে। পথ পাড়ি দেয়ার সাথে সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন গাড়ি।
মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশ ও জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের ভূখণ্ডের প্রতিটি অংশ অমূল্য সম্পদ। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব।
এই লংমার্চ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ভারতের উগ্রবাদী গোষ্ঠীর মতো আচরণ করতে মাঠে নামি নাই৷ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যে সুরক্ষা দেয়া আছে, সেটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ছয়জন প্রতিনিধি দিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসছি।
স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা লংমার্চ করছি। ভারত নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দাবি করে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণ-আন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা, তার দোসরদের আশ্রয় দিয়েছে। আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই যে এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ না। এই বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার, খালেদার জিয়ার, তারেক রহমানের বাংলাদেশ। এদেশের এক ইঞ্চির মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ উপরে ফেলা হবে।
ভারতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে জিলানী বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু না। বিশেষ করে সেখানে শেখ হাসিনা থাকে, বাংলাদেশের শত্রু থাকে, সেই ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যদি ভারত সরকার আর কখনো ষড়যন্ত্র করে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে সামান্যতম ষড়যন্ত্র পরিলক্ষিত হয়, তাহলে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দুর্বার আন্দোলন হবে।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পাশাপাশি রাষ্ট্র। আমরা বলেছি ভারত বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে আমাদের হাইকমিশনার হামলা হয়েছে, পতাকা পুড়িয়েছে। সীমন্তে আমাদের দেশের নাগরিকদের গুলি করে মারছে, ফেলানিকে হত্যা করে কাঁটাতারের ঝুঁলিয়ে রাখে। এটা কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না।
তিনি বলেন, ভারত একটি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র। ভারতের আর্শিবাদে এদেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখন হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চ শুরুর আগে নয়া পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ লংমার্চ করছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল।