এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে : সেলিম উদ্দিন

এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগসহ রাষ্ট্রের সকল সেক্টরকে পরিকল্পিতভাবে দলীয়করণ করে দেশকে এক মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। সবকিছু তুলে দেয়া হয়েছিল খারাপ লোকদের হাতে। তাই সময় এসেছে এসব খারাপ ও অর্বাচীনদের কবর দেয়ার। এ দেশে আর কখনো জুলুম-নির্যাতন, হত্যা-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এ দেশে রাজনীতি করতে হলেও জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে। সকল কিছুর জন্য জনগণের কাছেই জবাবদিহি করতে হবে।

আজ বুধবার সকাল ৭টায় রাজধানীর দক্ষিণখান পশ্চিম থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের আজমপুর এলাকায় ন্যায্যমূল্যের বাজার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আগামী দিনের সকল নির্বাচনে সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু লোকদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, এ দেশে তথাকথিত রাজনীতি আর চলতে পারে না। তাই ২৪-এর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন, অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

থানা আমির আবু সাঈদ শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মোহাম্মাদ জামাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মো: মামুন, সেক্রেটারি আলী হোসাইন মুরাদ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো: আইয়ুব আলী, আশরাফুল আলম, মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা জিয়াউর রহমান, সিরাজুল ইসলাম মামুন ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘রাজনীতি শুধু মানুষের জন্য’ কথাটা বেশ সুন্দর হলেও আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে তার প্রতিফলন নেই। কারণ, এক শ্রেণির রাজনীতিকের আত্মকেন্দ্রীকতা ও স্বার্থান্ধতার কারণেই আমাদের দেশের রাজনীতির লক্ষচ্যুতি ঘটেছে। বিগত ৫ বছরের দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করলে ওই নেতিবাচক চিত্রই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। এর ঠিক বিপরীত মেরুতে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আমরা নিজেদের অর্থেই সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করি। সর্বোপরি আমাদের অর্জিত অর্থের সিংহভাগ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করি। মূলত জামায়াত একটি কল্যাণকামী ও গণমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে দেশকে একটি গণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।

এ সময় তিনি ওই কাঙ্ক্ষিত সমাজ বিনির্মাণে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।