ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ, সমাবেশের প্রস্তাব
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৭, আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৪
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সাথে হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সবগুলো রাজনৈতিক দল আজ উপস্থিত ছিল। এই বৈঠকে সবাই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।
নজরুল বলেন, সভায় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেকোনো উসকানির মুখে অটুট রাখার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা সাহসী, অটুট ও ঐক্যবদ্ধ থাকব। ভবিষতে যেকোনো ধরনের উসকানি আসলে আমরা আমাদের ঐক্য আরো বেগবান দেখানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। বৈঠকে, আমরা গোটা জাতি ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি, এজন্য আমরা সবাই মিলে একটি সমাবেশ করতে পারি কিনা, পলিটিক্যাল কাউন্সিল করতে পারি কিনা, এমনকি নিরাপত্তার কাউন্সিল করতে পারি কিনা এই প্রস্তাব আনা হয়েছে।
এই সভার মূল সুর ছিল যে আমাদের মধ্যে মত, পদ, আদর্শের ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু দেশ, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে আমরা সবাই এক। সবার ওপরে দেশ এবং এটা থেকে আমরা কখনো বিচ্যুত হবো না। বাংলাদেশকে দুর্বল, শক্তিহীন, নতজানু ভাবার কোনো অবকাশ নেই, এই বার্তা প্রকাশ করতে, এই বার্তা জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা চলছে। হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ, বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা এসবের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
ভারতের এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার যে আত্মমর্যাদাশীল সাহসী ভূমিকা তার প্রশংসা করা হয়েছে এবং সরকারের সাথে সলিডারিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একইসাথে ভারতের এই সকল প্রচারণার বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালীভাবে এবং আরো বেগবান ভাবে মোকাবেলার কথা বলা হয়েছে।
এজন্য আমাদের যারা প্রবাসী, বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিদেশী সাংবাদিকদের নিয়ে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা এবং আইনি দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সাথে সাথে গত ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে সেটা প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে।
রামপালসহ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর যে সকল চুক্তি রয়েছে, সেগুলো বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে অর্থনৈতিক নিপীড়ন, সাংস্কৃতিক আধিপত্য অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর চেষ্টা সেটা নিন্দা জানানো হয়েছে। একইসাথে ভারতকে বাংলাদেশের প্রতি মর্যাদাশীল এবং সৎ প্রতিবেশী আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশবিরোধী যে অপ্রচারণা চালাচ্ছে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল সম্প্রদায়ের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। একইসাথে যেকোনো উস্কানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সবাই একটা কথা বলেছেন আমাদেরকে আর শক্তিহীন, দুর্বল, নতজানু ভাবার কোন রকম অবকাশ নেই। যেকোনো ধরনের অপপ্রচারণ এবং উস্কানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং আমাদের ঐক্য অটুট রাখব। আমরা সাজাগ থাকব ভবিষ্যতে যেকোনো প্রচারণা এলে, উস্কানি আসলে আমরা আমাদের ঐক্যকে আরো বেগবান রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
প্রস্তাব আকার এসেছে, গোটা জাতি ভারতের অপপ্রচার বিরুদ্ধে যে ঐক্যবদ্ধ আছে। সবাই মিলে একটা সমাবেশ করতে পারি কিনা, সবাই মিলে পলিটিক্যাল একটা কাউন্সিল করতে পারে কিনা, নিরাপত্তা কাউন্সিল করতে পারে কিনা এজন্য প্রস্তাবনা হয়েছে। এসব আর বলছি সুর ছিল আমাদের মধ্যে মূলমত পথ আদর্শের ভিন্নতা থাকবে আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে অবস্থার ভিন্নতা থাকবে কিন্তু দেশ এবং সার্বভৌমত্ব এবং অস্তিত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই এক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা