২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
মানবাধিকার কর্মী মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোন

‘সেই দিনটি দেখতে চাই, যেদিন খুনিরা কাঁদবে আর মজলুমরা হাসবে’

ডা. শফিকুর রহমান এবং মিনা ফারাহ - ফাইল ছবি

বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

ফোনে জামায়াত আমির বলেছেন, ‘আমরা সেই দিনটি দেখতে চাই, যেদিন খুনিরা কাঁদবে আর মজলুমরা হাসবে।’

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিনা ফারাহ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফেসবুকে মিনা ফারাহ লিখেন, সত‍্যের পক্ষে কাজের জন‍্য আমাকে ধন‍্যবাদ জানাতে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ফোন।

পোস্টের সাথে নিজেদের আলাপের চার মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও যুক্ত করেন তিনি।

ফোনালাপে জামায়াত আমির বলেন, একজন সেনাপতি হিসেবে, যোদ্ধা হিসেবে নয় আমি আপনাকে এই কৃতজ্ঞতা অনেক দেরি করে ফেললাম এ জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। দলের পক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশে আমরা যারা মজলুম বসবাস করি তাদের সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কঠিন সময় যখন কেউ দাঁড়ায়নি তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন। আপনার এই ঋণ আমরা কোনোদিন পরিশোধ করতে পারব না।

এ সময় জামায়াত আমিরকে ভাই সম্বোধন করে মিনা ফারাহ বলেন, জামায়াতের এত বড় একটি জায়গায় থেকে আপনি আমাকে ফোন করেছেন এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আজকে আমি খুব শান্তি পাচ্ছি। ২০১১ সালে যখন আমি যখন অত্যাচারী স্বৈরাশাসকের বিরুদ্ধে প্রথম লেখি, তখন আমার বাড়িঘর ব্লক করে দেয়া হয় এবং আমার দেশে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষী না দেয়ায় আমাকে এত হয়রানি করা হয়েছে। আমি দেশে যেতে চাই এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে চাই। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ফিরিয়ে এনে তাদের গণহত্যার বিষয়ে মুখোমুখি করা হোক। শেখ হাসিনার গণহত্যার বিষয়ে আমি একজন সাক্ষী।

মিনা ফারাহ আরো বলেন, কামরুজ্জামান মানুষ মারেনি। আমি মিথ্যা সাক্ষী না দেয়ায় তারপর থেকে আমার ওপর মামলা করা হয়।’

এসব বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠনের আহ্বান জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement