শিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করে অভ্যুত্থান ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে : উপদেষ্টা নাহিদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৪৮
শিক্ষার্থীদের বিতর্কিত অবস্থানে দাঁড় করিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ছাত্রদের নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হলে এ সরকারকে বিতর্কিত করা সহজ হবে। পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার সেই অপচেষ্টা চলছে। আমরা সবাই যেন এ ব্যাপারে সচেতন থাকি, দায়িত্বশীল আচরণ করি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি বিজ্ঞান কলেজে আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মেলা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ, সংঘাত শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করতে সহায়তা করছে। শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে। এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে।
তিনি বলেন, আমরা এতদিন বিক্ষোভ করেছি রাজপথে থেকেছি, আমাদের এখন রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের এখন মেধাকে কাজে লাগাতে হবে, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছি। সেই পথে এগিয়ে যেতে হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সব ব্যবস্থা করবে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে নির্বাচনে যাওয়া হবে। তার আগে বিপ্লবের সুফল যেন দেশের প্রতিটি মানুষ পায়, সেটা তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের চেতনা অনুযায়ী দেশ চলছে। লুটপাট, অর্থপাচার, গুম ও খুনের বিচার করা হবে। সবাইকে ধৈর্য ধরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা আমাকে মাননীয় ও মহোদয় বলার দরকার নেই। আমি আপনাদের ভাই। আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করলে বেশি খুশি হবো।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ শমশের আলী বলেন, বিজ্ঞানে বাতিক না থাকলে বিজ্ঞান এগোয় না। গণআন্দোলনে আহতরা যেন আজীবন স্বাস্থ্যসেবা পায়। আন্দোলনকারীদের স্বপ্ন যেন সত্য হয়। তরুণদের সুযোগ দিলে তারা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে পরিচিত করাবে।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এমন আমিনুল হক বলেন, আমাদের কলেজ ১৯৫৪ সালের অবকাঠামো নিয়ে চলছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ। অতিদ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণ করার ব্যাপারে তিনি উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজের উপাধ্যক্ষ তানজিনা ফেরদৌস, নাগরিক কমিটির সদস্য সারওয়ার তুষার, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক সরকারি বিজ্ঞান কলেজের সাবেক ছাত্র তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।