ফেনীতে খালেদা জিয়ার বাড়ি এসে আবেগ আপ্লুত মির্জা ফখরুল
- ফেনী অফিস
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৬
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরে এসে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীপুর মজুমদার বাড়িতে পৌঁছান তিনি। এখানে ফুলগাজী উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে মায়ের মতো জানে। তিনিও সারাদেশের মানুষকে গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন জীবন-সংগ্রাম করেছেন। তার স্বামী ছিলেন রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর প্রধান। স্বৈরাচার এরশাদ যখন জনগণের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিলো, তখন তরুণদের নিয়ে খালেদা জিয়া আন্দোলন করেছেন। সরকারে এসে তিনি দেশের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন। ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার জন্য বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছোট্ট একটি স্যাঁতসেঁতে ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে ঠিকমত ঘুমাতে পারেননি। খেতে দেয়া হয়নি। যার কারণে তার অসুখ হয়ে যায়। ছয় বছর জেল খেটেছেন। তবুও তিনি মাথা নত করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। অথচ যারা মানুষ মেরেছে, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সেই দস্যুরা পালিয়েছে।’
১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত সম্মানী লোক। দেশের প্রতিটি মানুষ তাকে সম্মান করে। তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানের পর তাকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগে। তিন মাসের মধ্যে অনেক কাজ করেছেন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আওয়ামী লীগের লোক এখন আর অত্যাচার করতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন হবে।’
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপানসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও জয়নাল আবদীন ভিপি, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সদস্য শাহানা আক্তার শানু ও আবু তালেব, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল যুগ্ম-আহবায়ক প্রফেসর এম এ খালেক, গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন প্রমুখ।