দেশ ও জাতির কল্যাণে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে যুব সমাজকে প্রস্তুত থাকতে হবে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

‘যুবকরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তাই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে যুব সমাজকেই অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।’

রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরের বেনারশী পল্লীতে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের পল্লবী থানা দক্ষিণ আয়োজিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক বন্ধের দাবিতে এক যুব সমাবেশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

থানা আমির অধ্যাপক আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি অধ্যাপক রুহুল আমিনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মো: নাসির উদ্দীন।

আরো বক্তব্য রাখেন পল্লবী মধ্য থানা আমির আবুল কালাম পাঠান, পল্লবী উত্তর থানা আমির মো: সাইফুল কাদের ও রূপনগর থানা আমির মো: আবু হানিফ প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের যত বড় বড় অর্জন সবই এসেছে যুব সমাজের হাত ধরে। তাই আজকের যুব সমাজ যদি মূল্যবোধের চর্চায় আত্মনিয়োগ করে এবং ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়, তাহলেই একটি আদর্শভিত্তিক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। অতীতে মানুষ যুব সমাজের ওপর আস্থা রাখতো। কিন্তু একটি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ, অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা এবং ভোগবাদী মানসিকতার কারণে তারা মানুষের আস্থা হারিয়েছে। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে মাদক। তারা মাতাল হয়ে মা, বাবা, ভাই, বোন, আত্মীয়-স্বজন কাউকেই চিনতে পারে না। শুধু তাই নয়। শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য এদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে অস্ত্র। যারা আত্মস্বার্থ ও গোষ্ঠীস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তারা জাতি বিধ্বংসী এবং শয়তানের প্রেতাত্মা।

তিনি বলেন, প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও সনাতনী চিন্তা-ভাবনা দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ করা সম্ভব নয়। মূলত দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সৎ চরিত্রবান, মূল্যবোধ সম্পন্ন আল্লাহ, রাসূল সা:, দ্বীন, শরীয়ত, দেশ ও জাতির কল্যাণ-মুক্তির আদর্শে বিশ্বাসী একদল মানবিক যুবক প্রয়োজন, যারা কোনো প্রকার অপরাধ প্রবণতার সাথে জড়িত হবে না। তারাই হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। যারা এমন একটি যুব সমাজ দেশ ও জাতিকে উপহার দিতে পারবে, তাদের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ।

এ সময় তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে যুব সমাজকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।