ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে আমৃত্যু লড়াই করবো : আসিফ মাহমুদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫৪
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেছেন, মওলানা ভাসানী মজলুমের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমৃত্যু লড়াই সংগ্রাম করেছেন, ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরও লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি, সে আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ফ্যাসিবাদের শুধু গাছটা কাটতে পেরেছি। কিন্তু মূল শিকড় উৎপাটন হয়নি। প্রশাসনের মধ্যে এখনো ফ্যাসিবাদের ভূত সর্বত্র রয়ে গেছে। তাদের উৎপাটন না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন ও সংগ্রাম অব্যহত থাকবে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দরবার হলে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি প্রফেসর ড. মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও ভাসানী ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, বিসিবি আমাদের তালিকা দিয়েছে, সারা দেশের নয়টি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক খেলা কখনো কখনো হতো। কয়েকটা আছে, যেগুলোতে ২৬ বছর আগে আন্তর্জাতিক খেলা হয়েছে। সেগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো পুনর্গঠনের কাজ চলছে। তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, দুই সহস্রাধিক শহীদের জীবন এবং ত্রিশ হাজার বীর যোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আমরা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করার স্বপ্ন দেখছি, নির্মাণে কাজ করছি। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, আমাদের সংগাম এখনো শেষ হয়নি। তেমনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ফ্যাসিস্টের পতনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেলেও আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। সংগ্রাম শেষ হতো যদি মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে কথা বলার বাংলাদেশে কেউ না থাকতো। মুজিবের ছবি নামানোয় কেউ মায়াকান্না না করতো।
তিনি আরো বলেন, যত দিন নতুন প্রজন্ম প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব না নেবে ততদিন পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
তিনি টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদ মারুফের নামে নামকরণ করার ঘোষণা দেন। এর আগে অতিথিদ্বয় মওলানা ভাসানীর মাজার জিয়ারত করেন।
সূত্র : বাসস