১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শেখ পরিবারের বন্দনা বন্ধ করা উচিত : মাহফুজ আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম - ছবি - ইন্টারনেট

শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের কথা শেখ মুজিবুর রহমানের দল ও পরিবারের সদস্যদের স্বীকার করা এবং ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘তাদের আরো উচিত, মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনা পরিহার করা।’

আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন।

এর আগে গত রোববার (১০ নভেম্বর) তিন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের সময় পেছনে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় অনেকে সমালোচনা করেছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে ছবি সরানো হয়। ফেসবুকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
এবার শেখ মুজিব এবং হাসিনাকে নিয়ে ‘শেখদের পতন’ শিরোনামে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন মাহফুজ।

তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

পতিত শেখরা!

শেখ মুজিব ও তার কন্যা (আরেক শেখ) তাদের ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্য জনগণের তীব্র রাগ-ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন, যে জনপ্রিয়তা হাসিনার ছিল না। জনগণ পাকিস্তানি নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার (শেখ মুজিব) নেতৃত্ব অনুসরণ করেছিলেন, কিন্তু একাত্তরের পর তিনি নিজেই একজন স্বৈরশাসক হয়ে ওঠেন। মুজিববাদের প্রতি তার সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় একাত্তরের পর পঙ্গু ও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নিজের ফ্যাসিবাদী ভূমিকার কারণে ১৯৭৫-এ তার মৃত্যুতে মানুষ শোক-অনুতাপ প্রকাশ করেনি।

তবে, শেখ তার একাত্তর-পূর্ব ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন, যদি শেখের একাত্তর-পরবর্তী গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ ও নিশ্চিতভাবেই বাহাত্তরের সংবিধান, যা বাকশাল প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছিল- এসবের জন্য তার দল ও পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। শেখ-কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কথাও তাদের স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া এবং এ জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত (শেখ মুজিবকে একজন ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাসের পাত্র বানিয়েছিলেন তিনি)। তাদের আরো উচিত, মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনা পরিহার করা।

কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে শেখের ছবি সরানো হয়েছে (কর্মকর্তারা সরিয়েছেন, যদিও তা হয়েছে); যে শাসন মেয়ে করেছেন ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও তার একাত্তর-পরবর্তী চেতনার কথা বলে। তার বাবাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল, কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের মানুষ একসাথে তাদের দু’জনের ছবি, ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলেছেন।

কেউ যদি সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর কারণে আক্ষেপ প্রকাশ করেন, তবে তিনি এ গণ-অভ্যুত্থান ও গণমানুষের চেতনারই নিন্দা জানালেন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না। আমরা এখানে এসেছি, ঐতিহাসিক অসঙ্গতি ও অপব্যাখ্যাগুলো দূর করতে। মনে রাখতে হবে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। আবার, কোনো মুক্তিযোদ্ধাও যদি একাত্তরের পর কোনো অন্যায় করে থাকেন, তার বিচার ও সাজা হওয়া উচিত।

স্বাধীনতাযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন বলেই তাদের (একাত্তরের পর কোনো অন্যায় করা মুক্তিযোদ্ধাদের) এ ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া উচিত নয়।

বাংলাদেশের উচিত, শাসক পরিবারগুলোকে দেবতুল্য করা ও সেই ক্ষমতাসীন পরিবারগুলোর সবকিছু নিজেদের বলে মনে করা- এ থেকে বেরিয়ে আসা। ’৪৭ ও ’৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা আমাদের সবার স্মৃতিতে থাকুক অম্লান!


আরো সংবাদ



premium cement
খুলনায় পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট সোনাগাজীতে উপজেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার কুবিতে পিএইচডি ও এমফিল চালুর সিদ্ধান্ত প্রবাসীদের স্বজনদের জন্য শাহজালালে ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ‘আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার বাদীদের শাস্তির দাবি’ ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন খুলনায় আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণচন্দ্রকে ডিম নিক্ষেপ মৌলবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে : আসিফ নজরুল নুর ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা : চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় পুলিশ বাহিনীর নিজেদের প্রমাণ করার এখনই সময় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিছু ঘটলে আন্তর্জাতিকভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলে ধরা হয় : আসিফ নজরুল

সকল