১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

২ উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদসভা থেকে ছাত্রদের গ্রেফতারের নিন্দা হেফাজতের

ছাত্রদের গ্রেফতারে হেফাজতের নিন্দা - ছবি : সংগৃহীত

নাট্যনির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিনকে উপদেষ্টা নিয়োগের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদসভা থেকে ছাত্রদেরকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, ফারুকী-বশিরকে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করার অধিকার সরকারের নেই। ছাত্র-জনতার চাপের মুখে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও প্রশ্ন থেকে যায়। কার নির্দেশে, কারা গ্রেফতার করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে দেখেছি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে সাধারণ জনতাকে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে পুলিশ। একই স্বৈরাচারী আচরণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা আশা করি না। ক্রমাগতভাবে হাসিনার জুজু দেখিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ও অদক্ষতা ঢাকার চেষ্টা নিন্দনীয়।

মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরো বলেন, কাকে কখন উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে আমরা জানি না। কোন প্রক্রিয়ায় নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে জনগণ তা জানতে চায়। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত অংশীজনের সাথে আলোচনা করা হয়েছে কিনা আমরা জানতে চাই। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে জবাবদিহিতার কোনো বালাই ছিল না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। ছাত্র-জনতাও অসন্তুষ্ট।

মাওলানা ইসলামাবাদী বলেন, যৌন সুড়সুড়িমূলক নাটক ও টেলিফিল্মের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে অশ্লীলতা শেখানো একজন নাট্যনির্মাতাকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানানো হয়েছে। তিনি আগে বিভিন্ন সময়ে ফ্যাসিস্ট মুজিব ও হাসিনার বন্দনা করে ফেসবুকেও পোস্ট দিয়েছেন।

এছাড়া বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদকে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দেয়া হয়েছে একজন ব্যবসায়ীকে। উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা হাসিনা আমলের মতো স্বেচ্ছাতন্ত্র দেখতে পাচ্ছি।

গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে উপদেষ্টা নিয়োগের পরিবর্তে সরকারের একটি অংশ গোষ্ঠীতন্ত্র কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ফারুকীর মতো আলেম-উলামা বিদ্বেষী বিতর্কিত ব্যক্তিকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। জনমত উপেক্ষা করলে অন্তর্বর্তী সরকার জনসমর্থন হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement