১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগানে উত্তাল নূর হোসেন চত্বর

স্লোগানে উত্তাল নূর হোসেন চত্বর - নয়া দিগন্ত

স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালে আজকের এই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শহীদ নূর হোসেন। দিনটির স্মরণে রাজধানী জিরো পয়েন্টে ‘নূর হোসেন চত্বরে’ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন বিভিন্ন পেশাজীবী, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

তবে দিনটিকে ঘিরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত আওয়ামী লীগ। ফলের আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতা কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

বিভিন্ন পেশার মানুষ অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে সেখানে। ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘খুনি হাসিনার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঠিকানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘সাঈদ-ওয়াসিম-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘শহীদ নূর হোসেন লও লও, লও সালাম’- এসব স্লোগানে উত্তাল নূর হোসেন চত্বর।

শহীদ নূর হোসেনের পরিবার, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফোরাম, রাষ্ট্রসংস্কার ছাত্র আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাসদ (মার্কসবাদী), গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল সকাল থেকে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা জানাতে আসছে।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। ১৫ বছর ধরে হাজারও মানুষকে গুম, খুন, হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন একজন সাধারণ মানুষ। তাকে আজকে আওয়ামী লীগ নিজেদের করে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতা তা হতে দেয়নি। নূর হোসেন সর্বজন স্বীকৃত।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নূর হোসেনের হত্যাকারী, কিন্তু তাদের রাজনীতি এখনো নিষিদ্ধ হয়নি। তাদেরকে রাজনীতিতে জিউয়ে রেখেছ, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’

রাশেদ খান বলেন, ‘প্রথমের দিকে জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সন্তোষ ছিল। কিন্তু এখন প্রতিদিন জনগণ তাদের ওপর অসন্তোষ হয়ে পড়ছে। তাই বলছি, অতিদ্রুত নির্বাচন দেন, তা না হলে আমরা ভাবব, আপনার মঈন-ফখরুদ্দিনের মতো দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’

এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দিকে একটি মিছিল নিয়ে যায় গণঅধিকার পরিষদ নেতারা।

এদিকে গুলিস্তানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের ডাকা সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। সচিবালয় রোডের সামনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানও রাখা হয়েছে সেখানে।

এর আগে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সবাইকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার নির্দেশনা দেয়। এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে ‘স্বৈরাচার’ আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে একইস্থানে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ফলে গুলিস্থান স্টেডিয়ামমুখী সড়কটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে যানজট দেখা দিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট চলছে লেবাননের আরো অভ্যন্তরে ঢোকার চেষ্টা, ৬ ইসরাইলি সৈন্য নিহত এলএনজি টার্মিনালের দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পেট্রোবাংলা! জোড়া শতকে কিউইদের বিপক্ষে বড় জয় শ্রীলঙ্কার গাজার যুদ্ধে ‘প্রকৃত বিরতির’ আহ্বান ব্লিংকেনের পার্লমেন্টে আস্থা ভোট দেবেন জার্মান চ্যান্সেলর বাতাসে কদবেলের ঘ্রাণ! জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ইউক্রেনকে আরো সহায়তা দিতে ব্লিংকেনের প্রতিশ্রুতি ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান হলের সিট বণ্টন নিয়ে উত্তপ্ত কুবি, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি

সকল