সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:২৩
দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী ও দুই কন্যা ও এক পুত্রের নামে-বেনামে বিগত সময়ে ক্রয়কৃত সম্পদের দলিলপত্র অনুসন্ধান করে অনুলিপি প্রদানের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ সাজেদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বিকেলে ডাকযোগে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ পত্র, দুর্নীতি দমন কমিশন সদর দফতর ঢাকা থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন।
দুর্নীতি দমন সদর দফতর ঢাকা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই কন্যা ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক পুত্র রাফিদুর রহিম-এর নামে-বেনামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত সরকার শাসন আমলে কোনো জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোনো মূল্যবান সম্পদ ক্রয় করা হয়ে থাকলে, ওই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান পূর্ব তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, দুদক সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশিত পত্র পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে দু’জন অফিস সহকারীকে এ অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা বিগত সরকারের সময়ে নির্দেশ অনুযায়ী জেলা রেজিস্টার অফিসে সংরক্ষিত বালাম বহি অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য পাওয়া গেলে দুদক সদর দফতরে পাঠানো হবে।
প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনাজপুর ৩ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে, বিগত সরকারের শাসনামলে, তার অবৈধ ক্ষমতার অপ-ব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক, নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য দুদক সদর দফতরের পরিচালক, সৈয়দ তাহসিনুল হক-কে দলনেতা করে, সহকারী পরিচালক, মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী সদস্য সচিব ও উপ-সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান খানকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুর সমন্বিত জেলা দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ অনুসন্ধানটি দুদক সদর দফতর থেকে চালানো হচ্ছে। দিনাজপুর জেলায় তাদের অনুসন্ধানে এ কার্যালয় থেকে কোনো সহযোগিতা চাওয়া হলে তা করা হচ্ছে।
সূত্রটি আরো জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম থেকে দুদক অনুসন্ধান টিম কাজ শুরু করেছেন। তারা ঢাকায় তার নিজের নামে ও পরিবার সদস্যদের নামে বাসা, একাধিক ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ জমাকৃত অর্থ এবং এফডিআর তথ্য পেয়েছেন।
সূত্র : বাসস