০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, empty
`

‘পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম’

পাসপোর্ট অফিসের সামনে গণঅধিকার পরিষদের মানববন্ধন - ছবি : নয়া দিগন্ত

হত্যা মামলার আসামিদের পাসপোর্ট করে দেয়ার সাথে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত ও বিচারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের এক মানববন্ধনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। তিনি বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অনেকের লাল পাসপোর্ট বাতিল করেছেন কিন্তু তাদের অনেককেই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অসাধু কর্মকর্তারা সাধারণ পাসপোর্ট নিয়েছেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আবু হানিফ বলেন, ‘শুধু শিরিন শারমিন নয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গুলি চালিয়েছে এমন অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকেও অবৈধভাবে সাধারণ পাসপোর্ট করে দেয়া হয়েছে। এর সাথে জড়িত পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ অসাধু আওয়ামী দোসর কর্মকর্তারা। শেখ হাসিনার পতনের পর অনেকেই পালিয়ে গেছেন, আবার অনেকেই পালাতে পারেন নাই।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে পাসপোর্ট করতে গেলে সাধারণ মানুষকে পদে পদে হয়রানি হতে হয়, সেখানে টাকার বিনিময়ে একটা গোষ্ঠী অনিয়মের মাধ্যমে এ সুযোগ নিয়ে থাকেন। এর সাথে জড়িত রয়েছে পাসপোর্ট অফিসের একটা সিন্ডিকেট। আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা কোনো সিন্ডিকেটের ঠিকানা পাসপোর্ট অফিসে হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটা নতুন দেশ পেয়েছি, ফ্যাসিবাদের সময় যারা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রিত করতেন তারা এখনো গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতারিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা কিন্তু পালায়নি, তাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।’

দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম ফাহিম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের হত্যা মামলার আসামিদের বাসায় গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের আইরিশ আনা ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেইমানি করার শামিল। শেখ হাসিনাকে পাসপোর্ট ছাড়া পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়েছে এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের আসামিদের গোপনে পাসপোর্ট দিয়ে দেশ ত্যাগে সাহায্য করে যাচ্ছেন হাসিনার স্বৈরাচারের দোসররা। এ ঘৃণিত কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের চাকরিচ্যুত করে গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদকে সেইফ এক্সিট করে দেয়া এ পাসপোর্ট অফিস অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদকে যারাই পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

গণঅধিকার পরিষদের মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ যারা আওয়ামী স্বৈরশাসকের দোসরদের গোপনে দেশ ত্যাগের পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে গণধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন শেরে বাংলা থানা প্রতিবাদ সংগ্রামের মাধ্যমে পাসপোর্ট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং ভবিষ্যতে যেকোনো পর্যায়ে পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্যের বা সিন্ডিকেট না হয় এক্ষেত্রে গণঅধিকার পরিষদ জনগণের পক্ষে কাজ করে যাবে।’

মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি জাফর মাহমুদ, সদস্য নিজাম উদ্দিন, মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইমরান, শেরে বাংলা নগর থানার আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্য সচিব আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল