শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না : সেলিম উদ্দিন

শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দেয়া উচিত। এরপরও দেশের যা ক্ষতি করেছেন, তা পূরণ হবে না।’

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় তুরাগ থানা আয়োজিত দলের কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্র সফল হলে রাজধানী হতো দিল্লি। পালিয়ে যাওয়ার পরে আবারো দেশে প্রবেশের দুঃস্বপ্ন দেখছেন।’

তিনি বলেন, ‘নৈতিক সাহস থাকলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতেন না। এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন করিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছেন তিনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট করেছে শেখ হাসিনার ছেলে জয়। লুটপাট করে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছিল।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের গতি বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। নৈরাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হতে হবে। জামায়াত স্বাধীনতার পর থেকে ছায়া সরকারের আদলে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। জনগণ ক্ষমতায় বসালে পাঁচ বছরে দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেবে।’

সম্মেলনে তুরাগ মধ্য থানার আমির গাজী মনির হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন তুরাগ মধ্য থানার নায়েবে আমির জনাব কামরুল হাসান ও থানা সেক্রেটারি জনাব মুহিবুল্লা বাচ্চু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরা মডেল থানা আমির জনাব ইব্রাহিম খলিল, উত্তরা পশ্চিম আমির জনাব মাজহারুল ইসলাম, উত্তরা পশ্চিম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক জনাব শাহিদুর রহমান মোল্লা, তুরাগ দক্ষিণ থানা আমির মাহবুবুর রহমান, তুরাগ উত্তর থানা আমির মতিউর রহমান।

এ সময় আবু বকর সিদ্দিক, একরামুল হক, মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সুরুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ারেস আলী মুরাদ, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ডা. কেরামত আলী, মোখলেসুর রহমান আলমগীর, আবু তাহের মিয়াজি, ইন্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসাইন, মাঈনউদ্দিনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।