প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য চায় মুসলিম লীগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩২
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতারা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘সংবিধান সংশোধন ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নেতারা এ মতামত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে মুসলিম লীগ খুলনা জেলা ও খুলনা মহানগরের যৌথ উদ্যোগে জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ওয়াজের আলী মোড়লের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: মহসীন রশিদ বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে। মুসলিম লীগও অন্তর্বর্তী সরকারকে পেশ করার জন্য প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। অথচ ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদী সরকারের পাতানো নির্বাচন বয়কট করা রাজনৈতিক দলগুলোই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বহনকারী দল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে ওইদিন কোনো ধরণের লড়াই করতে হয়েছিল তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। প্রবল রাজনৈতিক চাপ ও প্রলোভনকে উপেক্ষা করে ওই দিন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নির্বাচন বয়কট করে গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। ইতিহাস সাক্ষী, মুসলিম লীগই একমাত্র দল যারা আজ পর্যন্ত আধিপত্যবাদী ভারত ও তাদের দোসরদের সাথে কোনো আপোষ করেনি।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, পার্লামেন্টারিয়ান খান এ সবুরের ভাতিজা মুস্তাক আহমেদ খান, খুলনা মহানগর মুসলিম লীগ নেতা হায়দার আলী, দাউদ আহমেদ, বাগেরহাট জেলা মুসলিম লীগ নেতা খান আবদুস সবুর প্রমুখ।
খুলনা জেলা ও মহানগর মুসলিম লীগ নেতারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পরিবর্তন করা খুলনা শহরের প্রধান সড়কটি খান এ সবুর রোড নাম পুনর্বহালের এবং খান-এ-সবুর ট্রাস্টটি জনকল্যাণের স্বার্থে পুনর্গঠনের জোর দাবি জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি