১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩০, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

৭ মার্চ কোনো ঐতিহাসিক মাইলফলক নয় : টুকু

সিরাজগঞ্জে বিএনপির জনসমাবেশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

৭ই মার্চ কোনো ঐতিহাসিক মাইলফলক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

এ সময় তিনি বলেন, ‘৭ মার্চ যে মিটিং হয়েছিল সেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা হয়নি। জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা হয় না’। ইতিহাস রাবার দিয়ে ঘষাঘষি করার বিষয় না, এটি চিরদিন জীবন্ত, জ্বলজ্বল করে এবং ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।’

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে শহরের বাজার স্টেশন চত্বরে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমি পালাইনি, ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল করতে বিদেশে বসে কাজ করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিটিং করেছি, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সাইট মিটিং করেছি, কথা বলেছি, কমনওয়েলথসহ পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়কদের সাথে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছি। আমার নেতা তারেক রহমান ও পতিত সরকার জানতো আমি কোথায় কি কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা দুর্বৃত্ত তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট। গত ১৬ বছরে পতিত সরকারের হাতে যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেন। বিগত সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমার পরিবারকে হত্যা করতে চেয়েছিল।’

আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে টুকু বলেন ‘রাজনীতি বহু দেখাইছেন, রাজনীতি কারে বলে এখন টের পাবেন। বেশি খোঁচাখুঁচি করবেন না। খোঁচাখুঁচি করলে আপনাদের অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।’

সভাপতির বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আজ আমরা যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি তা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। এখন আমাদেশ দেশ গড়ার কাজ করতে হবে। বিএনপির প্রতিটি কর্মীকে এখন থেকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’

এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্বাচনমুখী কাজ করে জনগনের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ স্থানীয় নেতারা।

এ সময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, আবু সাইদ সুইট, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম, হারুন অর রশিদ খান হাসান, নুর কায়েম সবুজ ভিপি ওমর কৃঞ্চ দাসসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর আড়াইটার পর থেকে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাস নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। সিরাজগঞ্জ সদর ও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশে চত্বরে জড়ো হতে থাকে। এছাড়া বাজার ষ্টেশন এলাকাসহ আশপাশের সড়কে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বেলা ৪টার দিকে সমাবেশের মূল বক্তব্য শুরু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement