১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

উপদেষ্টাদের অনেকেই আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান : মেজর হাফিজ

‘গণঅভ্যুত্থান জন-আকাঙ্ক্ষা: রাষ্ট্র মেরামতে প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা - ছবি : নয়া দিগন্ত

ড. মুহাম্মদ ইউনূস যাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন, তাদের অনেকেই আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনা ধারণ করেন এমন ব্যক্তিদের সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান জন-আকাঙ্ক্ষা: রাষ্ট্র মেরামতে প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই। কারণ তারা গণহত্যায় সরাসরি জড়িত।

তিনি বলেন, এ সরকার গঠিত হয়েছে জনগণের ইচ্ছায়। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, আমরা ধীরে ধীরে হতাশ হচ্ছি।

সংস্কারের জন্য কত সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘যে ছয়টি কমিশন করা হয়েছে, এদের প্রজ্ঞাপন করতেই ছয় দিনের বেশি সময় লেগেছে, যেটা দু’দিনের বেশি লাগার কথা না। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে যাচ্ছে। পতিত শক্তি আবার ফিরে আসতে চায়। আনসার বাহিনী পর্যন্ত কু করতে চায়, এমনই দুর্বল সরকার এটা।’

এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস একেকজন উপদেষ্টাকে চার থেকে পাঁচটি করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে এদের কোনো অভিজ্ঞতাই তো নেই। এ ব্যাপারে তাকে চিন্তা করতে হবে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ভালোদের নিয়ে দায়িত্ব দেন। দরকার হলে যে ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে, তাদের থেকে আরো লোক নেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের টিমে খেলে এসেছেন অতীতে, তাদের আর মন্ত্রিপরিষদে আমরা দেখতে চাই না।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার অনেক কথা বলে, কিন্তু একটা কথা তাদের মুখ থেকে শোনা যায় না যে নির্বাচন কবে হবে। ইলেকশন কমিশন কবে গঠন হবে। অরাজনৈতিক এবং বিজ্ঞ লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

এ সময় রাষ্ট্র মেরামতের ২৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের জন্য জরুরি উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার করা। আমরা রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সংস্কৃতির সংস্কার চাই।

অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন জুইয়ের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন সাবেক বিরোধী দলীয় চীপ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, সাবেক যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি. কস্তা, ওলামাদলের মাওলানা শাহ নেছারুল হক, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম সিয়াম, ইউরোপ লেবার পার্টির সমন্বয়কারী মো: রাকেশ রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান, দফতর সম্পাদক মো: মিরাজ খান, মহানগর সাধারন সম্পাদক মো: জাহিদুল ইসলাম, গুলিবিদ্ধ নগর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক নোমান, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement