২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্ষমতাচ্যুত শাসকরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে কোথায় যান?

ইরানের রেজা শাহ পাহলভি (বামে), পাকিস্তানের পারভেজ মুশাররফ (মাঝে), ফিলিপিন্সের ফার্ডিনান্ড মার্কোস (ডানে) - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার পর থেকে নানা আলোচনা চলছে ক্ষমতাচ্যুত শাসকরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে কোথায় যান? আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকরা এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।

সম্প্রতি আবারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে বলছেন শেখ হাসিনা ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফার্মেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও তেমন দেখছি। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধানদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার দেশে ফিরেছেন। অনেকে আবার দেশ ছেড়ে যাননি।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ইউনিভার্সিটির দ্য জার্নাল অব পলিটিক্স-এ আবদেল এসক্রিবা এবং ড্যানিয়েল ক্রাকমারিক এক গবেষণামূলক নিবন্ধে লিখেছেন, স্বৈরশাসকরা পালিয়ে যেসব দেশে আশ্রয় নিতে চায় সেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় কাজ করে। এগুলো হচ্ছে ১. একটি দেশের সাথে তাদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় মিল কতটুকু আছে ২. ভৌগোলিক দূরত্ব কতটা ৩. দেশটি অতীতে কোনো স্বৈরাচারদের আশ্রয় দিয়েছে কী না ৪. দেশটি সামরিকভাবে শক্তিশালী কী না।

ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচাররা সাধারণত গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে আশ্রয় নিতে চায় না বলে উল্লেখ করেন আবদেল এসক্রিবা এবং ড্যানিয়েল ক্রাকমারিক।

অতীতে দেখা গেছে, মুসলিমপ্রধান দেশগুলো থেকে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারদের অনেকেই সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছেন। ২০২২ সালে মিডল ইস্ট আই পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সৌদি আরব যাদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রে খরচ বহন করেছে সৌদি সরকার। এছাড়া পশ্চিমা দেশে আশ্রয় নেবার নজিরও রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement