১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬
`

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ ২৯ জুন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী - ছবি : সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৯ জুন)। উনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

তিনি বিদেশে অবস্থানকালে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা রচনা করে দেশাত্মবোধের উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গেছেন।

মহাকবি মাইকেল মদুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন জমিদার। মা ছিলেন জাহ্নবী দেবী।

মধুসূদনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় মা জাহ্নবী দেবীর কাছে। জাহ্নবী দেবীই তাকে রামায়ন, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতির সাথে সুপরিচিতি করে তোলেন। তেরো বছর বয়সে মদুসূদন দত্ত কলকাতা যান এবং স্থানীয় একটি স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনার পর তিনি সে সময়ের হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন।

তিনি বাংলা, ফরাসি ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষালাভ করেন। এরপর তিনি কলকাতার বিশপস কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখানে তিনি গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন। পরবর্তীতে আইনশাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য তিনি ইংল্যান্ড যান।

মাইকেল মদুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ছিলেন। ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ বাংলা মহাকাব্যের অভিধা লাভ করায় মধুসূদন অভিষিক্ত হন মহাকবি হিসেবে।

তিনি বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ববাসী এ ধীমান কবিকে মনে রেখেছে কৃতজ্ঞচিত্তে। ১৮৪৩ সালে খৃষ্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং মাইকেল উপাধি গ্রহণ করেন। ইংরেজি সাহিত্যে তার কীর্তির যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় তিনি মনক্ষুণ্ণ হয়ে পড়েন। এরপর ইংরেজি সাহিত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন তিনি।

বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মদুসূদন দত্তের কালজয়ী রচনাবলীর অন্যতম হলো মেঘনাদবধ কাব্য, ক্যাপটিভ লেডী, শর্মিষ্ঠা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, কৃষ্ণকুমারী, বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রোঁ,পদ্মাবতী, ব্রজঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, হেক্টরবধ, চতুর্দশপদী কবিতাবলী।

১৮৫৯ সালে রচনা করেন পৌরাণিক নাটক শর্মিষ্ঠা। ১৮৬০ সালে রচনা করেন একেই বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রোঁ এবং পদ্মাবতী নাটক। পদ্মাবতী নাটকেই তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। এরপর ১৮৬১ সালে মেঘনাদবধ মহাকাব্য, ব্রজঙ্গনা কাব্য, কৃষ্ণকুমারী নাটক, ১৮৬২ সালে পত্রাকাব্য বীরাঙ্গনা এবং ১৮৬৬ সালে চতুর্দশপদী কবিতাবলী রচনা করেন।

এ মহাকবির জন্মের কারণেই সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ নদ জগৎবিখ্যাত। কালের প্রবাহে কপোতাক্ষ নদের যৌবন বিলীন হলেও মাইকেলের কবিতার কপোতাক্ষ নদ যুগে যুগে বয়ে চলেছে।

১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ মহাকবি। কলকাতায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতা খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির স্বাক্ষ্য গ্রহণ পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের ফিরে আসার সুযোগ নেই : রফিকুল ইসলাম খান গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান ঢাকায় পুলিশ পরিচয়ে অপহৃত, কুষ্টিয়ায় উদ্ধার : গ্রেফতার ৬ মুফতি কাজী ইব্রাহিমের ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার দাবি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেফতার ৩ রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তঃসংলাপ জরুরি রাস্তা পারাপারের সময় পিকআপের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু আ’লীগ ১৬ বছর আলেমদের ওপর জুলুম করেছে : মামুনুল হক চাঁপাই সীমান্তে উত্তেজনা, এক দিনে যা যা হলো ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে স্বস্তির প্রহর গুনছেন ফিলিস্তিনিরা

সকল