ফিলিস্তিনি কবি মুরিদ বারগুছি আর নেই
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:৩৮, আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:৩৯

খ্যাতনামা ফিলিস্তিনি কবি মুরিদ বারগুছি আর নেই। জীবনের বেশিরভাগ সময় নির্বাসনে কাটানোর পর ৭৬ বছর বয়সে রোববার জর্দানের রাজধানী আম্মানে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
মুরিদ বারগুছির ছেলে তামিম বারগুছি রোববার তার তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে পিতার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে লিখেন, ‘আল্লাহ আমার বাবা ও মায়ের ওপর রহমত নাজিল করুন।’
ফিলিস্তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী আতেফ আবু সাইফ মুরিদ বারগুছির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বলেন, ‘তার মৃত্যুতে ফিলিস্তিন ও আরব বিশ্ব জাতীয় সংগ্রাম ও সৃজনশীলতার এক প্রতীককে হারালো।’
মুরিদ বারগুছি ১৯৪৪ সালের ৮ জুলাই অধিকৃত ফিলিস্তিনের রামাল্লা শহরের কাছাকাছি দেইর গাসসানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের চার বছর পরই ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় এবং ‘নাকবা’ তথা বিপর্যয় নামে পরিচিত ফিলিস্তিনিদের বিপুলভাবে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর সম্পূর্ণভাবে ইসরাইল দখল করে নেয়।
যুদ্ধের আগেই বারগুছি ১৯৬৩ সালে মিসরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নের জন্য ভর্তি হন। ১৯৬৭ সালে তিনি অধ্যয়ন শেষ করলেও পরবর্তী ৩০ বছর আর জন্মভূমি রামাল্লায় ফিরতে পারেননি।
জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি মিসর, জর্দান, লেবানন, ইরাকে নির্বাসনে কাটান। নির্বাসনের জীবনে তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসানের বিষয়ে কবিতা লিখেন।
১৯৭০ সালে মুরিদ বারগুছি মিসরীয় উপন্যাসিক রাওদা আশুরকে বিয়ে করেন। তাদের সন্তান তামিম বারগুছিও আধুনিক আরবি ভাষায় কবিতা লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
রাওদা আশুর ২০১৪ সালে কায়রোতে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা