রাসেলস ভাইপার এবার যাচ্ছে কলকাতায়!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জুলাই ২০২৪, ১৪:৩৮
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মাত্র ছয় ধরনের বিষধর সাপের দেখতে পাওয়া যায়। ছয় প্রজাতির মধ্যে কালাচ, কেউটে ও গোখরো’র দেখা মেলে সুন্দরবন এলাকায়। এছাড়াও সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে দেখা যায় প্রায় বিলুপ্তি প্রজাতির শঙ্খচূড় সাপও। সাধারণত এই চার প্রজাতির বিষধর সাপ সুন্দরবন এলাকায় দেখা য়ায়। কালাচ, কেউটে ও গোখরো’র কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে। যদিও শঙ্খচূড় সাপের দেখা মেলে না সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে। বিগত করোনা কাল থেকে চন্দ্রবোড়া সাপের উৎপাত বেড়েছে সুন্দরবনসহ সমগ্র জেলাজুড়ে।
গত করোনাকালে বাসন্তী ব্লকের সোনাখালি এলাকায় বাসন্তী হাইওয়ে থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি চন্দ্রবোড়া সাপ। প্রায় দুফুট লম্বা এবং হৃষ্টপুষ্ট চেহারার। ইদানিং সুন্দরবনের বাসন্তী, ক্যানিং, জীবনতলা, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি এলাকায় চন্দ্রবোড়া সাপের আনাগোনা এক প্রকার বেড়ে গেছে বলে দাবি সাপ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
সুন্দরবন এলাকায় চন্দ্রবোড়া’র বিস্তার প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছে, ‘মূলত সুন্দরবন এলাকা বাদ দিয়ে বারুইপুর, চম্পাহাটী, মগরাহাট, মথুরাপুর সহ রাজ্যে অন্যান্য প্রান্তে চন্দ্রবোড়া সাপের আনাগোনা রয়েছে। বর্তমানে বালি বোঝাই ট্রাকসহ মালবাহী গাড়িতে চন্দ্রবোড়া সাপ সুন্দরবন এলাকায় প্রবেশ করছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের আবহাওয়ায় নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছে। এর ফলে দিন দিন চন্দ্রবোড়া তার এলাকা বিস্তার করছে। সাধারণত চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে মানবদেহের রক্তকণিকা ধ্বংস করে দেয়। পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র হিমোটক্সিক সাপ চন্দ্রবোড়া। এই চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। এটি ফণাহীন সাপ, এদের গায়ে চাকা চাকা চন্দন হলুদ রঙের দাগ থাকে। এরা কামড়ালে রক্ত তঞ্চনের গন্ডগোল হয়। চিকিৎসা করাতে দেরি হলে রোগীর কিডনি নষ্ট হতে থাকে। মুত্রের সাথে রক্ত এসে যায়। এরা সাধারণত ২-৩ ফুট লম্বা হয়।
চলতি বছরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সাময়িক রেকর্ড অনুযায়ী ১১০ জন বিষধর সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। যার মধ্যে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের সংখ্যা ছিল ৬৬ জন। অর্থাৎ শতকরা ৬০ শতাংশ।
সূত্র : জি নিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা