ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারীকে ছাড়তে নারাজ ‘কৃতজ্ঞ’ বিড়াল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৯, আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:০৬
বিপদের দিনে চেনা যায় প্রকৃত বন্ধুকে। এ কথা তো আমরা সকলেই জানি। তবে সত্যিকার বিপদের দিন এলে যে পরিস্থিতি কী রকম ভয়াবহ হতে পারে, তা হয়তো আমরা সচরাচর কল্পনাও করে উঠতে পারি না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে যেভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে তুরস্ক, তাতে বিপদের বহর দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ, মৃত্যুমিছিল। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে, লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতির ভিতর থেকেই মানুষকে উদ্ধার করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন কেউ কেউ, এমন ছবিও দেখা গিয়েছে। যতটা সম্ভব মানুষকে রক্ষা করতে সদা ব্যস্ত উদ্ধারকারীরা। আর এসব কিছুর ভিতরই নজর কেড়ে নিলো একটি দৃশ্য। ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি বিড়ালকে উদ্ধার করে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এক ব্যক্তি। উদ্ধারকারীর নিরাপদ কাঁধে নিশ্চিন্তে বসে আছে বিড়ালটি।
ঘটনা হয়তো তেমন বড় কিছু নয়। কিন্তু এই দৃশ্যই মন কেড়ে নিয়েছে নেটদুনিয়ার। যেখানে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুর মুখে, ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে, সেখানে একটি বিড়ালের দিকে কে আর নজর দেবে! হয়তো এমনটাই ভেবে নেয়া যেত, কিন্তু অন্যরকম ভাবনাতেই ভাবিয়ে তুলেছিলেন এই উদ্ধারকারী। বিপর্যয়ে যে-ই পড়ুক না কেন- সে মানুষ হোক বা অন্য কোনো প্রাণী– বিপদ থেকে সকলকে রক্ষা করাই কর্তব্য। এই ব্যক্তি ওই কাজই করেছেন।
উদ্ধারকারীর ঋণ ভোলেনি কৃতজ্ঞ বিড়ালটিও। মানুষের দুনিয়ায় কৃতঘ্নের দেখা মেলে প্রায়ই। উপকারীর উপকার স্বীকার না-করাই যেন দস্তুর হয়ে উঠেছে। তবে যতই মনুষ্যেতর বলা হোক না কেন, পশুদের দুনিয়া বোধহয় নিয়ম-কানুন অনেক বেশি ‘মানবিক’। আর তাই উদ্ধারকারীরকে ছেড়ে কিছুতেই অন্য কোথাও যেতে চায়নি বিড়ালটি। নেটিজেনরা জানতে পেরেছে, উদ্ধারকারীর নাম আলি কাকাস। আরো জানা গেছে, আলি নিজেও বিড়ালটিকে কাছছাড়া করতে চাননি। তিনি তাই দত্তক নিয়েছেন প্রাণীটিকে, আর তার নাম দিয়েছেন ‘এনকাজ’।
ধ্বংস আর মৃত্যুর মধ্যে এই ঘটনা যেন জীবনেরই উদযাপন। শুধু একটি প্রাণীর জীবন বাঁচানো আর প্রতিদানে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশই নয়। জীবনের যে সূক্ষ্ম এবং সুন্দর দিকগুলি রয়েছে, যা হয়তো আমরা ভুলেই থাকি, বিপর্যয়ের মধ্যে এই ঘটনা যেন আমাদের দৃষ্টি সেদিকেই ফিরিয়ে দিয়েছে নতুন করে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা