১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অন্য পাখি নয়, চিঠি পাঠাতে কেন কবুতরই বেছে নেয়া হতো

অন্য পাখি নয়, চিঠি পাঠাতে কেন কবুতরই বেছে নেয়া হতো - ছবি : সংগৃহীত

চিঠিপ্রেরক বা বার্তাবাহক হিসেবে পায়রাকে কাজে লাগানোর ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরে চালু ছিল। প্রায় সব দেশেই তা দেখা যেত। চরবৃত্তির জন্য এখনো অনেক দেশ এই প্রথাকে ব্যবহার করে থাকে।

এখন এক ক্লিকেই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতর বা ব্যক্তির কাছে। নেটমাধ্যমের দৌলতে এখন ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ-এর মতো অনেক আধুনিক প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করে থাকি। ফলে পায়রা দিয়ে বার্তা পাঠানোর বিষয়টি যেন এখন একটা গল্পকথার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কোনো দুর্গম প্রান্ত যেখানে পত্রবাহকরা পৌঁছতে পারতেন না, সেখানে বার্তা পাঠাতে পায়রাই ছিল একমাত্র সম্বল। এর জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। বার্তা পাঠানোর জন্য সেনাবাহিনীতেও পায়রাকে একটা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই প্রথা তিন হাজার বছর আগে থেকে মিসরীয়রা প্রথম ব্যবহার করেন। পরে ধীরে ধীরে অন্য জনজাতিও এই প্রথাকে রপ্ত করে।

কাক, টিয়া, কাকতুয়ার মতো অনেক পাখিই তো আছে যারা সহজে মানুষের আদবকায়দা রপ্ত করতে পারে। কিন্তু তাদের এই কাজে ব্যবহার না করে কেন শুধু পায়রাকেই পত্রবাহক বা বার্তাবাহক হিসেবে ব্যবহার করা হতো?

কারণ অবশ্যই আছে। সেই কারণ কী, এ বার জেনে নেয়া যাক। আমরা অনেকেই পায়রা পুষি। আশপাশেও অনেক পায়রা দেখতে পাই। তবে পত্রবাহক হিসেবে গৃহপালিত পায়রাকেই (হোমিং পিজন) কাজে লাগানো হতো। সমীক্ষায় জানা গেছে, এই পায়রার মধ্যে রাস্তা চেনার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। এই পায়রাকে যেকোনো জায়গায় ছেড়ে দিয়ে এলে ঠিক রাস্তা চিনে ঘরে ফিরে আসবে। তা ছাড়া পাখিরা ম্যাগনেটোরিসেপশনের মাধ্যমে বুঝতে পারে তারা পৃথিবীর কোন জায়গায় আছে। দাবি করা হয়, সূর্যের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে পায়রা নাকি ঘরে ফেরার রাস্তা ঠিক খুঁজে নিতে পারে।

শুধু রাস্তা চেনার ক্ষমতাই নয়, গতির জন্যও পায়রাকে পত্রবাহক হিসেবে কাজে লাগোনোর জন্য বেছে নেয়া হতো। ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি বেগে উড়তে পারে পায়রা। এক দিনে হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ছ’হাজার ফুট উচ্চতাতেও উড়তে পারে পায়রা। এই সব কারণের জন্যই পায়রাকে পত্রবাহক বা বার্তাবাহক হিসেবে বেছে নেয়া হতো।
সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement
ট্রাম্প প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন কেনেডি জুনিয়র খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা সাবেক এমপি টিপু আটক জনগণের সমর্থন ধরে রাখতে প্রয়োজন ‘দ্রুত সাফল্য’ ম্যাচ সেরা হয়েও দলে নেই এজাজ, সিরিজ সেরা হয়েও একাদশ অনিশ্চিত ইয়ংয়ের ক্ষমতা গ্রহণের পর শুরুতেই যেসব কাজ করবেন ট্রাম্প আইন মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে গৃহীত কার্যক্রম দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় সরকার ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে অগ্রগতি করছে : অর্থ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া ষ্টেডিয়ামের নাম ‘শহীদ আবরার ফাহাদ ষ্টেডিয়াম’ সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার ২০২৫ সাল নাগাদ বন্ধ হবে : রিজওয়ানা হাসান

সকল