২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শেয়ানে শেয়ানে লড়াই!

প্রতিটি ছবিতেই দুই ভাইয়ের হিংস্রতা ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে - ছবি : ডেইলি মেইল

লড়াই চলছে, লড়াই। শেয়ানে শেয়ানে লড়াই। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে হুঙ্কারে তুলছে দুই যোদ্ধা। কেঁপে উঠছে চারপাশ। এই যুদ্ধে সিপাহ-শালা নেই। যুদ্ধের ময়দানে প্রতিপক্ষ শুধু দুই ভাই। লড়াইটা শুধু তাদের মধ্যে।

ভারতের রাজস্থানের সাওয়াই মধুপুরের রান্ধাম্বর ন্যাশনাল পার্কে এই লড়াই চলেছে। আর এ যুদ্ধের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন ফটোগ্রাফার হার্শা নারাসিমহামুর্তি। পুরো লড়াইয়ের অসাধারণ কিছু ছবি তুলেছেন তিনি। তবে ঘটনাটি ঘটেছিল এক বছর আগে। সম্প্রতি তিনি ছবিগুলো প্রকাশ করেছেন। প্রতিটি ছবিতেই দুই ভাইয়ের হিংস্রতা ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে।

দুই ভাই জঙ্গলে টাইগার-৫৭ ও টাইগার-৫৮ নামে পরিচিত।

হার্শা বলেন, ‘দুই ভাইয়ের লড়াই দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাঁপছিলামও বটে। প্রকৃতির বিস্ময়কর মুহূর্ত চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।’

২০১৯ সালের অক্টোবরে ছবিগুলো তুলেছিলেন হার্শা। তিনি ব্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা। ঘটনাটির ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও করেছিলেন তিনি। আর তাতে দেখা যায়, ‘যুদ্ধের ময়দানে নেমে দুই ভাই হুঙ্কার দিতে থাকে। এরপর তারা একে অপরের কাঁধে থাবা তুলে। শক্ত করে ঝাপটে ধরে। তারপরই একে অপরকে কামড় দেয়। এভাবেই আঘাত পাল্টা আঘাত চলতে থাকে।’

লড়াইয়ের মাঝে মাঝেই তারা থেমে যায়। একে অপরকে হুঙ্কার দিতে থাকে। তারপর আবার লড়াই শুরু করে। জঙ্গলের গাছ-গাছালি মাড়িয়ে আড়াল হয়ে যায়। শুধু ময়দানের ধুলো উড়তে থাকে।

কিন্তু দুই ভাইয়ের লড়াইয়ের কারণ কী? কেন এত হিংস্রতা?

কারণটা জানা যায়নি। আর জানা সম্ভবও নয়। তবে অনুমান তো করা যায়। ভিডিও থেকে যতটুকু বোঝা যায়, তাদের লড়াই শুরু হওয়ার আগ ঠিক মুহূর্তে এক বাঘিনী সেখানে ছিল। লড়াই শুরু হতেই সে জঙ্গলের ভেতরে চলে যায়। তাহলে কি লড়াইয়ের কারণটা সে? তাকে পেতেই যুদ্ধের ময়দানে নেমেছিল দুই ভাই?

সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি ফটোগ্রাফার হার্শা। তিনি বলেছেন, ‘জঙ্গলে একটি বাঘ দেখতে পাওয়াই সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে একসাথে দুই বাঘ দেখতে পাওয়া এবং তাদের লড়াই। আসলেই অসাধারণ একটি মুহূর্ত ছিল।’

সূত্র : ডেইলি মেইল


আরো সংবাদ



premium cement