২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

১৮ হাজার বছর আগের ‘কুকুর’ নিয়ে রহস্যে বিজ্ঞানীরা

- ছবি : সংগৃহীত

সাইবেরিয়ায় বরফের মধ্যে ১৮ হাজার বছর আগেকার একটি প্রাণী ছানা পাওয়ার পর গবেষকরা বোঝার চেষ্টা করছেন যে, এটি কি একটি কুকুর নাকি নেকড়ে।

কুকুরের মতো দেখতে ওই প্রাণীটি- মৃত্যু হওয়ার সময় যার বয়স ছিল দুই মাস- খুব ভালোভাবে রাশিয়ার ওই এলাকার ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঞ্চলে সংরক্ষিত হয়েছে, যার পশম, নাক এবং নাক, সবই অক্ষত রয়েছে।

কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা করেও এই প্রাণীটির প্রজাতি নির্ধারণ করা যায়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মানে হয়তো এটাই হতে পারে যে, এই প্রাণীটি নেকড়ে এবং বর্তমান সময়ের কুকুরের মধ্যকার বিবর্তনের একটি যোগসূত্র তুলে ধরছে।


রেডিওকার্বন ডেটিং ব্যবহার করে কবে এই প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে এবং কতদিন ধরে সেটি হিমায়িত হয়ে রয়েছে, সেটা বের করা সম্ভব হয়েছে। জিনোম বিশ্লেষণ করে বোঝা গেছে যে, এটি একটি পুরুষজাতীয় প্রাণী।

সুইডেনের সেন্টার ফর প্যালায়েজেনেটিকসের গবেষক ডেভ স্ট্যানটন সিএনএনকে বলেছেন, প্রাণীটির ডিএনএ বিশ্লেষণ করেও প্রাণীটির সঠিক প্রজাতি না পাওয়ার মানে এটা হতে পারে যে, এটি হয়তো এমন একটি প্রজাতির অংশ ছিল, যা থেকে বর্তমান কুকুর ও নেকড়ে, উভয়েই এসেছে।

''এটি থেকে আমরা অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং এতো তথ্য থেকে আশা করা যায় যে, এটা বলা যাবে যে প্রাণীটি আসলে কী?''

ওই সেন্টারের আরেকজন গবেষক, লভ ডালেন একটি টুইটার বার্তায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন যে, এই প্রাণীটি কি একটি নেকড়ে ছানা নাকি ' সম্ভবত পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে পুরনো কুকুর'?

এখনো ডিএনএ বিশ্লেষণ অব্যাহত রেখেছেন বিজ্ঞানীরা এবং আশা করছেন যে, এই গবেষণার মাধ্যমে কুকুরের বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে।

এই ছানাটির নাম রাখা হয়েছে, 'ডোগোর,' রাশিয়ার ওই অঞ্চলের ইয়াকুট ভাষায় যার মানে হলো 'বন্ধু'। যার আরেকটি অর্থ হলো, সংক্ষিপ্তভাবে জানতে চাওয়া, 'এটা কি কুকুর নাকি নেকড়ে'?

ধারণা করা হয় যে, বর্তমান সময়ের কুকুর এসেছে নেকড়ে থেকে। কিন্তু ঠিক কখন থেকে কুকুর গৃহপালিত প্রাণী হয়ে উঠেছে, এ নিয়ে বিতর্ক আছে।

২০১৭ সালে প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণায় ইঙ্গিত দেয়া হয় যে, কুকুর প্রথম গৃহপালিত হয়ে উঠতে শুরু করে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার বছর আগে থেকে। বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement
বায়ুদূষণে শীর্ষ তিনে ঢাকা, নাগরিকদের যে পরামর্শ দেয়া হলো শখের বশে কমলা চাষে সফল রানা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ পাহাড়ি খাদ্যসংস্কৃতিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : শিশুসহ দগ্ধ ৭ সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ফিরছেন শান্ত, অপেক্ষা বাড়ছে মুশফিকের জন্য পিক‌নিকের বা‌সে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু : পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ৭ কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি ‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ রাশিয়ায় শিক্ষার্থীদের ‘নির্মমভাবে’ গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিবাদ

সকল