নৃশংসভাবে মারা পড়ল ৩০০ কুমির
- বিবিসি
- ১৬ জুলাই ২০১৮, ১৬:৪৬
ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের একটি গ্রামের ক্ষুব্ধ অধিবাসীরা ৩০০ টির মতো কুমির মেরে ফেলেছে। সেখানকার একটি অভয়ারণ্যে এসব কুমির ছিল ।
এই অভয়রাণ্য থেকে বেরিয়ে কোন একটি কুমির তাদের গ্রামের একজন লোককে হত্যা করেছে। তার প্রতিশোধ নিতেই এসব কুমিরকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ও কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামবাসীদের হামলা থেকে এসব কুমিরকে বাঁচাতে তারা কিছুই করতে পারেন নি। তারা বলছেন, এখন হয়তো যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার আইনে কুমিরের মতো সংরক্ষিত প্রাণী হত্যা করা অপরাধ এবং এজন্যে শাস্তি হিসেবে জরিমানা অথবা কারাদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ বলছে, শুক্রবার সকালে কুমিরের ওই খামার থেকে স্থানীয় একজন গ্রামবাসী যখন গবাদি পশুর জন্য ঘাস সংগ্রহ করছিল, তখন সেখানকার একটি কুমিরের আক্রমণে তিনি প্রাণ হারান।
খামারের একজন কর্মী শুনতে পান যে কেউ একজন সাহায্যের জন্যে চিৎকার করছে। তখন তিনি খুব দ্রুত সেখানে ছুটে যান এবং দেখাতে পান যে একটি কুমির একজনকে আক্রমণ করেছে, বলেন ইন্দোনেশিয়ায় ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের ন্যাচরাল রিসোর্সেস কনজারভেশন এজেন্সির প্রধান।
শনিবার ঐ নিহত গ্রামবাসীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। তারপর কয়েকশো ক্রুদ্ধ গ্রামবাসী ওই অভয়ারণ্যের দিকে ছুটে যায়। এসময় তাদের হাতে ছিল ছুরি, শাবল, হাতুড়ি এবং মুগুর।
কুমিরের খামারের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, উত্তেজিত জনতা প্রথমে খামারের অফিসে হামলা চালায়। তারপর তারা অভয়ারণ্যের ২৯২টি কুমিরকে হত্যা করে।
৪৮ বছরের সুগিতোর পায়ে কুমির আক্রমণ করেছিল বলে জানিয়ে তার নিকটাত্মীয়রা। এছাড়া কুমিরের লেজের আঘাতে তার শরীরে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল।
মানব বসতি পূর্ণ এলাকায় কুমিরের খামার দেয়ার কারণে স্থানীয় এলাকাবাসীরা ক্ষুব্ধ ছিল। এ নিয়ে তারা মিছিল করে পুলিশ স্টেশনেও গিয়েছিল।
স্থানীয় সংরক্ষণ এজেন্সির প্রধান বাশার মানুলাং বলেন, ফার্ম কতৃপক্ষের সাথে ভিকটিম পরিবারের সমঝোতা হয়েছিল। আমরা ভিকটিম পরিবারের সাথে চুক্তি করেছিলাম এবং এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম।
কিন্তু স্থানীয় জনতা এটা মেনে নেয়নি। তারা ছুরি, বল্লম, রামদা নিয়ে কুমিরের খামারের উপর আক্রমণ করে ৪ ইঞ্চি পরিমাপের বাচ্চা থেকে শুরু করে ২ মিটার লম্বা কুমিরও হত্যা করে।
পুশিল ও ফার্মের কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা এঘটনার সাক্ষীদের খোঁজ করছেন। এঘটনায় শীগ্রই মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ বন্যপ্রাণীর বিশাল আবাসস্থল। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির কুমির বাস করে আর প্রায় সময়ই সাধারণ মানুষ এসব কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়ে থাকে।
ইন্দোনেশিয়ান কতৃপক্ষ গত মার্চে বোর্নিও দ্বীপে স্থানীয় পাম বাগানের একজন কর্মীকে আক্রমণের পর ৬ মিটার লম্বা বৃহৎ একটি কুমির হত্যা করেছিল।
২ বছর আগে রাশিয়ার একজন পর্যটক পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জের রাজা আমপিট দ্বীপে কুমিরে হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
এই খামারটিতে নিউ গিনি ও নোনা পানির কুমিরের চাষ হচ্ছিল।
সূত্র: বিবিসি ও এনডিটিভি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা