২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সংসদে অর্থবিল পাস হবে সোমবার

সংসদে অর্থবিল পাস হবে সোমবার - ছবি : সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কতিপয় আইনের সংশোধনী সম্বলিত অর্থবিল-২০২০ রোববার সংসদে পাস হবে। এরই মধ্যে চলতি বছরের বাজেট প্রথমধাপ সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২০ উত্থাপন ও পাস এবং মঞ্জুরি দাবির ওপর ভোটগ্রহণের অর্থ দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাস সম্পন্ন হবে। আগামী বুধবার পহেলা জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।

সকাল ১১টায় সংসদের বৈঠক শুরু হবে। অর্থবিল পাসের আগে বাজেট হবে।এটি হবে চলতি বছরের বাজটের ওপর দ্বিতীয় দিন এবং একইসাথে শেষদিনের আলোচনা। আজও অর্থবিল পাসের আগে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এবং সংসদ উপনেতা জাতীয় পার্টিও চেয়ারম্যান জি এম কাদেও আলোচনায় অংশ নেবেন।

রোববার রোল নির্দিষ্টকরণ বিল পাসের মধ্য দিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট পাস সম্পন্ন হবে। তার আগে প্রস্তাবিত দায়যুক্ত ব্যয় ব্যতীত অন্যান্য ব্যয় সম্পর্কিত মঞ্জুরি দাবির ওপর ভোটগ্রহণ এবং দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা ও নিস্পত্তি করা হবে।

আগে মাত্র গত ২৩ জুলাই মাত্র একদিন চলতি বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের পরিস্থতিতে গত ১০জুন সংসদের বৈঠক শুরু হলে ১১ জুন সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন আহম মুস্তফা। এরপর গত ১৫ জুন সম্পূরক বাজেট পাস হয়। তার আগে আরো একদিন বৈঠক বসলেও চলতি সংসদেও সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ইন্তেকালে শোক প্রস্তাবের আলোচনার পর বৈঠক মুলতবী হয়ে যায়।

সাধারণ সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দীর্ঘসময় আলোচনার রেওয়াজ আছে। এই আলোচনায় সংসদের অধিকাংশ সদস্যই অংশ নিয়ে থাকেন। সবসিময়ে ৫০ থেকে ৬০ ঘন্টা পর্যন্ত বাজেট আলোচনার রেকর্ড রয়েছে। তবে এবার একারেবই ব্যতিক্রম। এবার একদিনে ৬/৭জন সংসদ সদস্য আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আজ আর তিনজন অংশ নেবেন। দুইদিনেই শেষ হচ্ছে বাজেট আলোচনা।

করোনা পরিস্থিতি কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাধ্যতামুলক মাস্ক, হেডক্যাপ, গ্লাভস পরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংসদ সদস্যরা বাজেট অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। অধিবেশন শুরুর আগে সংশ্ল্যিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিদের করোনা পরীক্ষা করে নেভেটিভ নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদেরকে সংসদেও কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়। তাতে দেখা যায় এপর্যন্ত সংসদেও শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি সংসদ অধিবেশন অংশ নেয়া দুইজনসহ ১৬জন সংসদ সদস্য এ পর্যন্ত আক্রান্ত। এই প্রেক্ষিতে গত বৈঠকের আগ থেকে ওই দিনের বৈঠকে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের করোনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে বৈঠকে অংশ নেয়ার ব্যাবস্থা করা হয়। সাড়ে তিশজন সদস্যদেও মধ্যে প্রতি বৈঠকে ৮০ থেকে ৯০ জন অংশ নিচ্ছেন। এই জন্য অধিবেশনের শুরুতেই চিফ হুইপের দফতর থেকে একটি রোস্টার তৈরী করে সদস্যদের দেয়া হয়। তাতে অধি বয়স্ক এবং যাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তাদেরকে সংসদের বৈঠকে না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সংসদে সাংবাদিক ও দর্শনাশীদেরও এবার অনুমতি দেয়া হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement