১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ইসলামিক ফাউন্ডেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের এডহক কমিটি গঠন

সভাপতি মুহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন শ্রমিক কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের (বি-১৯৫০) এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন মুহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ইউনিয়নের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু প্রমুখ।

বৈঠকে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচিত কমিটি জোরপূর্বক হটিয়ে দিয়ে তারা ইউনিয়নটি দখল করে নেয়। তারা ইউনিয়নের ৭০০ সদস্যের অধিকার কেড়ে নিয়ে শ্রমিক লীগের লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি শুরু করে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে এই ইউনিয়নের ১৫০ এর অধিক সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের বদলির বিধান নেই। এই আইন উপেক্ষা করে তৎকালীন কমিটির ১৪ সদস্যকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বদলি করা হয়।

শ্রমিকদের হয়রানি মূলক বদলি ও চাকরিচ্যুত করা ছিল অহরহ। আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংও সমাবেশে কর্মচারীদের জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হতো। বিভিন্ন ব্যানারে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে ঘায়েল করতে যত্রতত্র মানববন্ধন, সমাবেশ আয়োজন করতো। যারা এসব অপরাজনীতিতে অংশ নিতে অনিহা প্রকাশ করতো তাদের ওপর জুলুমের খড়গ নেমে আসতো। আব্দুল হাই মোল্লা ও আব্দুল হক ছিল এসব অপরাজনীতির মূল হোতা। এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকার ক্ষুণ্ন ইউনিয়নের টাকা আত্মসাৎ ও চাঁদাবাজির তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে শ্রম অধিদফতরকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান বলেন, এই ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। অথচ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিধি লঙ্ঘন করে ব্যক্তি পূজা ও ইসলামী আদর্শের বিপরীতমুখী কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে পড়ে। আমরা শ্রমিকের অধিকার আদায়ের জন্য অতীতের মত ধারাবাহিক কাজ করে যেতে চাই। আজকের পর ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কোনো কর্মচারীর ওপর জুলুম সহ্য করা হবে না। কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল