১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

‘বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য ছওয়াবের মহতী উদ্যোগ’

‘বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য ছওয়াবের মহতী উদ্যোগ’ - ছবি : নয়া দিগন্ত

আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনীর বিস্তীর্ণ এলাকা। এই দুর্যোগে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সব শ্রেণি, পেশা ও ধর্মের মানুষ।

এরই ধারাবাহিকতায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সোশ্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ (ছওয়াব)।

ছওয়াব ত্রাণ তৎপরতায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলছে।

ছওয়াব টিম বন্যার শুরু থেকে বিরামহীনভাবে কুমিল্লা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা লাকসাম, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোটসহ ফেনী ও লক্ষীপুর জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছয় হাজার ২০০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট (চাল ২৫ কেজি, ডাল তিন কেজি, সয়াবিন তেল দুই লিটার, আটা চার কেজি, চিনি এক কেজি, লবন এক কেজি, আলু তিন কেজি, ৫০০ গ্রাম গুড়া দুধ, বিস্কুট, নুডুলস), নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহ সামগ্রী এবং হাইজিন কিটস (সেনেটারি ন্যাপকিন, সাবান, পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট, খাবার সেলাইন, টুথ ব্রাশ, টুথ পেস্ট ইত্যাদি) এবং সাহ হাজার ২০০টি রান্না করা খাবার প্যাকেট বিতরণ করে চলেছে। ত্রাণ কার্যক্রমে সর্বক্ষণ নিয়োজিত আছেন ছওয়াবের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব লোকমান হোসেন তালুকদার, জনাব ইমদাদুল ইসলাম (ডেপুটি ম্যানেজার-মনিটরিং), মো: খোরশেদ আলম (ডেপুটি ম্যানেজার- ফান্ডরেইজিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন) ও জনাব আবু সাঈদ মোল্লা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ করে সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত এবং আকস্মিক প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে নানাবিধ সহযোগিতা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

ছওয়াব আশা করে সমাজের বিত্তবানরাও ছওয়াবের কাজে উৎসাহী হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ত্রাণ কর্যক্রমের পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পূর্ণবাসন ও আর্থিক সহযোগিতায় সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল