২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সৈয়দ ইব্রাহিম ও শাহজাহান ওমরের গ্রেফতারসহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ

সৈয়দ ইব্রাহিম ও শাহজাহান ওমরের গ্রেফতারসহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অস্তিত্ব রক্ষার্থে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ যারা স্বৈরাচার সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আট দফা দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র পার্টি ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।

সমাবেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাতনি অ্যাডভোকেট নুরতার আরা ঐশী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আট দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো ১. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী স্বৈরাচারী সরকারের সকল দোসরদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। ২. হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানাভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করে টপ টেন ঘটনাকে ৪৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণনদিতে হবে। ৩. হাসিনা কর্তৃক নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইমেজ বিল্ডিং করতে হবে। ৪. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বে এক শতাংশ ভোটারদের সমর্থন নেয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করতে হবে। ৫. ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির উপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে। ৬. সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএল’র গৃহীত পুনর্বাসন প্রকল্পসহ কমপক্ষে ১০০টি প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে চালু করার করতে হবে। ৭. ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই তালিকা করে তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান করতে হবে এবং প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে হবে। এবং ৮. ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সমাবেশে নুরতাজ আরা ঐশী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভিন্নমত ও বিরোধী দলকে নিঃশেষ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের শেষ রক্ষা হয়নি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এবার তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

এ সময় সমাবেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের সন্তান মো: আব্দুর রহিমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে তেলের ডিপোতে আগুন বাংলাদেশে আবারো রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা কতটা ‘প্রিয় মালতী' মুক্তির পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন মেহজাবীন চৌধুরী রংপুরে তথ্যমেলায় শেখ হাসিনার বাণী সংবলিত লিফলেট প্রচার, তীব্র প্রতিবাদ বান্দরবানে বড়দিন উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনীর নানা সহায়তা তুরস্কে হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : পাইলটসহ নিহত ৪ দেশীয় ব্যাংকগুলোর সমন্বিত নিরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ বিধান জারি সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে আসলে জবি রাজি, ব্যত্যয় হলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মিরসরাইয়ের আমজাদ নিহত কমিশনের সুপারিশ ঘিরে প্রশাসন ও অন্য ক্যাডারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে বড়লেখায় বিএসএফের গুলিতে চাশ্রমিক নিহত, জিরো লাইন থেকে লাশ উদ্ধার

সকল