আমরা গণঅভ্যুত্থানের রূপ দেখেছি : আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনে জুলাইয়ে যেটি হয়েছে এটি গণঅভ্যুত্থান। এটি গণভোত্তনের প্রথম পর্যায়ে। গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নিতে আর বেশি দেরি নেই। এই চূড়ান্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়েই জাতির মুক্তি মিলবে স্বৈরাচারের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে গণহত্যার বিচার , বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রতিবাদী নাগরিক সমাজ।
প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয় বিজয়ের সূচনা হয়েছে। আমাদের চূড়ান্ত বিজয় আর বেশি দূরে নয়। আজকে ভারাক্রান্ত হৃদয় বলতে হয় শিক্ষকের কাধে ছাত্রের লাশ!
ছাত্র হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত পরিকল্পিতাবে সংঘটিত হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডকে জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ড হিসেবে সামনের দিনে অভিহিত করা হবে। হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই, কে বিচার করবে, কার কাছে বিচার চাইবো? হত্যাকারীর কাছে তো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না।
তদন্ত কমিশন হয়েছে শুনেছি এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিসের তদন্ত কমিশন, কার তদন্ত কমিশন। এ তদন্ত কমিশনের কাছে আপনি কী আশা করতে পারেন। এগুলো আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা এই নিষ্ঠুর বিকৃত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কাছে আর কোনো বিচার চাই না। বিচার করবে জনগণ, জনগণ আজ জেগে উঠেছে। এ জনগণকে গত ১৫ বছর ধরে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সেই ঘুম ভেঙ্গেছে আজ জনগণের।
১৯৭১ সালের আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেই স্বাধীনতা নিষ্ফল হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতিহাস রয়েছে পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার নির্যাতন করে রক্তপাত করে টিকে থাকতে পারে না। আমাদেরকে গুম করা হয়েছে লাঞ্চিত করা হয়েছে গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হয়েছে। সেই সাথে যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেটিও ধ্বংস করেছ। শিক্ষা নামে কোনো জিনিস নাই। এই জাতিকে অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বার বার হোঁচট খেলে মুক্তির আন্দোলন শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নিয়েছে। জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছে। সেজনের গণঅভ্যুত্থান আমরা দেখতে পেলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড তাজমেরী ইসলাম বলেন, রক্তের ওপর দিয়ে কেউ টিকেনি, শেখ হাসিনাও টিকবে না। আমাদের প্রজন্মকে বাঁচাতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে, ভয়ভীতি ছাড়া। এভাবে তরুণ শিশু হত্যা হবে, এটা কি স্বাধীন দেশ।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, সরকার হত্যা করে এখন মায়া কান্না করছে। এ সরকার ডামি ভোটের সরকার। এ আন্দোলনে আমাদের চারজন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৩০০ বেশি আহত হয়েছে সাংবাদিক। আমাদের গণমাধ্যম তথ্য আড়াল করে নিউজ করছে, এ কারণে মানুষ সোশ্যালমিডিয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে, এখন আপনারাই (গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ) সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা নিজেদের টিকিয়ে রাখবেন কি না।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাই শিকদার, পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা