২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মানুষ হত্যার বিচার ও নিরপরাধ ছাত্র-জনতার মুক্তি দাবি শীর্ষ উলামায়ে কেরামের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা - ছবি : বিবিসি

দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে সহিংসতা, নারকীয় তাণ্ডব, নিরীহ ছাত্র সাংবাদিক শিশু ও পথচারীদের ওপর লোমহর্ষক এবং অমানবিক আক্রমণ কোনো বিবেকবান লোকই মেনে নিতে পারে না। এর দায়-দায়িত্ব ক্ষমতাসীনরা কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।’

তারা মানুষ হত্যার বিচার ও নিরপরাধ ছাত্র-জনতার মুক্তি দাবি জানান।

সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে দেশবরেণ্য আলেম-উলামাগণ এ কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উস্কানিমূলক বক্তব্য, ক্ষমতাসীন সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের অমানবিক হামলা দেশী-বিদেশী সকল মিডিয়ায় যা প্রচারিত হয়েছে, তা দেখে কোনো সুস্থ বিবেকবান মানুষ চুপ থাকতে পারে না!’

তারা দেশের আলেম সমাজসহ সচেতন মহলকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

তারা আরো বলেন, ‘সমাজের সচেতন অভিভাবক হিসেবে আমরা দেশে চলমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের শুরু থেকেই লক্ষ্য করেছি, সরকারের কতিপয় ব্যক্তিদের উস্কানিমূলক বক্তব্যেই অরাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ ছাত্রদের আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দেয়ার ব্যবস্থা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নামিয়ে তাদেরও গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়। ফলে দেশের শান্তিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস ও রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে শহীদ করে অসংখ্য মায়ের বুক খালি করা হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে অন্ধ ও পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। এখনো বহু শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। যেটা গণহত্যার শামিল। পক্ষান্তরে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সকল সহিংসতার দায়ভার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপিয়ে চিরুনি অভিযানের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী, সাধারণ মানুষ, ছাত্র ও আলেম উলামাদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। সারাদেশ এখন আতঙ্কগ্রস্থ। আমরা জনগণের মাঝে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করতে দেখছি।’

তারা বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সকল দাবি মেনে নেয়াসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং অহেতুক সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে দেশের শীর্ষ আলেমদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামিক কানুন পরিষদের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীকি, মীরের সরাইর পীর সাহেব মাওলানা আ: মোমেন নাছেরী, টেকের হাটের পীর সাহেব মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, খেলাফাতে রববানীর আমির মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, পীর মাওলানা শরীফ হোসাইন, মুসলিম জনতা পরিষদের আমির মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, মুফতি মাওলানা নাসির উদ্দীন কাসেমী, শাহ এমদাদুল হক পীর সাহেব, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের আমির আধ্যাত্মিক গুরু শাইখ নুরুল ইসলাম ফয়েজী, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের জেনারেল সেক্রেটারি আল্লামা মুস্তাক ফয়েজী, ইসলামী ঐক্য মঞ্চ সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস হোসাইন, সেক্রেটারি আবদুস সাত্তার, খাদেমুল ইসলাম জামাত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ, জমিয়াতে উলামা দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারি হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী, জাতীয় খতীব পরিষদের আমির মুফতি মাওলানা মাসউদুর রহমান, হুফ্ফাজ পরিষদ সভাপতি হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারি মুফতি মাহবুবুর রহমান, ইসলামী অন লাইন অ্যাক্টিভিটস সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ ও মহাসচিব মুফতি আবু আনাস, কওমী হাফেজ পরিষদ সভাপতি মুফতি নূরুল আমিন গোপালগঞ্জী হুজুর, সম্মিলিত ইসলামিক জোটের আমির মাওলানা আবদুল বাকি, সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মনিরুজ্জামান, জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, ইসলামী সমাজ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান আল কাশেমী ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি জাকারিয়া, ইসলামী জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব হাফেজ আবুল কাসেম, ইমাম কল্যাণ সমিতি সভাপতি পীর সাহেব মাওলানা কুতুবুল ইসলাম মাজহারী, সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মোহাম্মদ সালেহ, বাংলাদেশ মজলিসুল মুফাসসিনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামদ, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা নুরুল আমিন, ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদ সেক্রেটারি মুফতি মাহমুদুল হাসান, মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শাইখ মাওলানা মহিউদ্দীন মাসুম, তালিমুল কুরআন সোসাইটির আহবায়ক মুফতি নুরুল আমিন, আরে সংগঠন মহাসচিব মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ মুফতি মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইখলাস উদ্দিন, ইসলাহুল উম্মাহ সভাপতি মাওলানা আবু হানিফ নেছারী, অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, হাফেজ ফারুক হোসাইন, প্রফেসর মাওলানা মুফতি ইসহাক মাদানী, নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস আল, মহাসচিব শাইখ আব্দুল কাউয়ূম, জাতীয় ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা এ বি এম শফিকুল্লাহ, মাদরাসা মসজিদ ও খানকা ঐক্যপরিষদ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement