১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
দি ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের বিবৃতি

হামলা-হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

হামলা-হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে দি ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ।

শনিবার (২৭ জুলাই ২০২৪) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘ছাত্রসমাজ কোটা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ যে আন্দোলন করে আসছিলেন, তা তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। সরকার আন্তরিক হলে দাবির প্রতি দ্রুত সাড়া দিয়ে সহজ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে যেতে পারতেন। কিন্তু তা না করে, তাদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য নিজেদের দলীয় কর্মীবাহিনীকে ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হাতে রক্তাক্ত হয়েছে, ক্যাম্পাসগুলো হয়েছে রক্তে রঞ্জিত। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।’

তিনি আরো বলেন, ছাত্রসমাজের ওপর ছাত্রলীগের অন্যায় হামলাকে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনতা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তারা দলমত নির্বিশেষে রাস্তায় নেমে আসলে, তাদেরকে দমন করার জন্য সরকার পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব নিয়োজিত করে পরিস্থিতি আরো জটিল করে তোলে। এসব বাহিনীর নির্বিচার গুলি বর্ষণের শিকার হয়ে শিশু, ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, পথচারী, শ্রমিক নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ২০৩ জনের অধিক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। বহু মানুষকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। কত মানুষ যে এখনো নিখোঁজ রয়েছে, তার হিসাব নেই। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। দেশের নিরাপত্তায় নিয়োগকৃত বাহিনী আজ নিজ দেশের মানুষের বুকেই গুলি ছুঁড়তে কার্পণ্য করছে না! এর চেয়ে মর্মান্তিক বিষয় আর কী হতে পারে!

গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তাদেরকেও যুদ্ধের ময়দানের ন্যায় জনতার ওপর গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে! ইন্টারনেটের বিচ্ছিন্নতার সাথে সাথে এই কারফিউয়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আজ অনেকাংশেই থমকে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে শুরু হয়েছে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা দেয়া ও গণগ্রেফতার। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ যা কল্পনাও করতে পারেনি, সে রকম চিত্রই আজ দেখছে।

এমতাবস্থায়,‘অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, গণগ্রেফতার বন্ধ, নিখোঁজদের সন্ধানের ব্যবস্থা করা, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদেরকে বিচারের আওতায় আনা ও ছাত্রসমাজের যৌক্তিক সকল দাবি মেনে নিয়ে দেশে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করত বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল