খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি রাজশাহীর ৮১ বিশিষ্ট পেশাজীবীর

তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার সহধর্মিণী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাজশাহীর ৮১ জন বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এক যুক্তবিবৃতিতে পেশাজীবীরা বলেন, মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ আওয়ামী সরকারের হয়রানির শিকার হয়ে বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্দী জীবন-যাপন করার ফলে তিনি নানাবিধ স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে।

পেশাজীবী নেতারা আরো উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ বলে ইতোমধ্যে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ৭৮ বছর বয়সী বেগম জিয়ার মেডিক্যাল টিম জানিয়েছে, তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যে ধরনের চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন তা দেশে সম্ভব নয়। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড ইতোমধ্যে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছেন যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে তাকে চিকিৎসা দেয়ার মতো কিছু বাকি নেই। কেননা, তার চিকিৎসার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার, সেসব দেশে নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে ‘অ্যাডভান্সড সেন্টার’ এ নিয়ে চিকিৎসা দেয়া জরুরি। কিন্তু সরকার এতে কোনোরূপ কর্ণপাত করছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি জানাচ্ছি।

সরকারকে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পরিহার করে গণতান্ত্রিক পথে চলার পরামর্শ দিয়ে পেশাজীবীদের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, অন্যথায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার সম্পূর্ণরুপে দায়ী থাকবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী পেশাজীবীগণের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: আবুল কাসেম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুষ্টিয়া) সাবেক ভিসি প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম, শত নাগরিক রাজশাহীর সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, রাবি সাদা দলের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এবং রাবি জিয়া পরিষদ সভাপতি প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক, ড্যাবের রাজশাহী সভাপতি ডা. ওয়াসিম হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট মাইনুল আহসান পান্না, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাবির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: আমীরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রুয়েটের সভাপতি প্রফেসর ড.এস এম আব্দুর রাজ্জাক, রাবি শিক্ষক ও শত নাগরিক রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: আব্দুল আউয়াল, রাবি বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো: গোলাম মোর্ত্তুজা, রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: জমসেদ আলী, সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজু, সাংবাদিক মো: আব্দুস সবুর, রাবি বিজ্ঞান অনুষদ এর সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মো: সাহেদ জামান, রাবি শিক্ষক প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, রাবি চারুকলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট পারভেজ টি জাহেদী, উপাধ্যক্ষ মো: মকবুল হোসেন, রাবি শিক্ষক প্রফেসর ড. দিল আরা হোসেন, ডা. মো: মোফাখখারুল ইসলাম, রাবি ভেটিরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কে এম মোজাফফর হোসেইন, রাবি ফিশারিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডল, অ্যাডভোকেট মো: নূর-এ-কামরুজ্জামান ইরান, অ্যাডভোকেট নূসরাত মেহেজেবীন সুমি, প্রকৌশলী মো: আহসান হাবীব, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম স্বপন, দৈনিক নতুন প্রভাতের সম্পাদক সোহেল মাহবুব, অ্যাডভোকেট মো: শাহজাহান আলী ফাহিম, ডা. মো: শামীম হোসেন চৌধুরী, রুয়েট প্রফেসর ড. মো: রবিউল ইসলাম সরকার, সাংবাদিক নেতা মহিব্বুল আরেফিন ও মো: মঈন উদ্দীন, রাবি প্রফেসর ড. মো: হাবিবুল ইসলাম, সাংবাদিক মো: ওমর ফারুক প্রমুখ।