২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের বিবৃতি

পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার আকবর ও বিপ্লবের মুক্তি দাবি

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের বিবৃতি - ছবি : সংগৃহীত

দুই পেশাজীবী নেতার গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি।

শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশনের (অ্যামটেব) মহাসচিব মো: বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব ও জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলী আকবর মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে পরিষদ।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যামট্যাব) মহাসচিব মো: বিপ্লবুজ্জামানকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভা থেকে বাসায় ফেরার পথে শাহবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (জেটেব) যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলী আকবর মোল্লাকে আজ সকালে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বিএসপিপি আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, ‘একের পর এক পেশাজীবী নেতাদের গ্রেফতার করে পেশাজীবীদের মধ্যে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়- গণতন্ত্রের পোষাকে দেশে ভয়ানক ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করে চলেছে সরকার। মানুষের কথা বলার অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এক ‘আজব গণতন্ত্র’ উপভোগ করছে।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, পুলিশ বাহিনীকে দলীয় ঠেঙ্গারে বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিন্নমত দমনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তারা সব নাগরিকের জান, মাল ও সম্মানসহ সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

‘বর্তমান সরকারের আমলে পেশাজীবীরা ন্যূনতম সম্মান ও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইঞ্জিনিয়ার আকবর ও বিপ্লবই নয়, ইতোমধ্যে অন্তত আরো ৩৫ জন পেশাজীবীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ৮০ বছর বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও আজীবন সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ আজহারুল কবির ও ব্যারিস্টার সৈয়দ ইজাজ কবির, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের (জেইউজি) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক শামসুল হুদা লিটন, চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাধ মইনুল হোসেন সাদিক ও অধ্যাপক ডা: এম এ আজিজ, ডা: রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাইনোকলজিস্ট ডা: ফাতেমা সিদ্দিকী, ডা: আতিকুল ইসলাম, দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: জাহিদুল কবির জাহিদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ হোসাইন, সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান মিলন, অ্যাডভোকেট জুয়েল মুন্সি সুমন, চাঁদপুর থেকে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন খান, রাজবাড়ী থেকে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বাবু, গোপালগঞ্জ থেকে তৌহিদুল ইসলাম, বরিশাল থেকে অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি, ফরিদপুর থেকে অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান ও অ্যাডভোকেট খসরুল ইসলাম, বরগুনা থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসি মতিন, অ্যাডভোকেট মো: রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জ থেকে অ্যাডভোকেট ফাতিমা ইয়াসমিন, কৃষিবিদ সানোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক প্রমুখ।

বিবৃতি মিথ্যা মামলায় আইনজীবী পিতা-পুত্রকে একই হাতকড়ায় আদালতে আনার সমালোচনা করে বলা হয়, আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম একই হাতকড়ায় দুই বিজ্ঞ আইনজীবী আদালতে আনা হলো। সম্পর্কে তারা পিতা-পুত্র। এদের একজন প্রায় আশি বছর বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও আজীবন সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ আজহারুল কবির। প্রবীণ এ আইনজীবীর জামিন তো দেয়া হয়নি, উল্টো রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এই আইনজীবীরই সন্তান বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট এর নিয়মিত আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী এবং টক শো ব্যক্তিত্ব জনাব ব্যারিস্টার সৈয়দ ইজাজ কবির। ভিন্নমত লালনের কারণে পিতার সাথে তাকেও গ্রেফতারের পর দুই মামলায় ৬ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, এভাবে পেশাজীবীদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়ার মাধ্যমে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। পেশাজীবীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কারণে দিনদিন এদেশ মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিরোধীমতের হাজার হাজার নেতা-নেতা-কর্মী আজ ঘর ছেড়ে, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের অনেকের বন-জঙ্গলে দিনাতিপাত করার খবর আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি।

‘সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে’ উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এভাবে পেশাজীবীদের হেনস্থা করা অব্যাহত থাকলে দেশের কৃতি ও মেধাবী সন্তানরা দেশে থাকতে চাইবে না। তাই আমরা পেশাজীবীবীসহ ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ, দেশে গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, বিচারালয়ের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে জেল হাজতে প্রেরণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশী অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার কমান্ডার আটক বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার পোকায় খেলো ভর্তির সময় জমা দেয়া রাবি শিক্ষার্থীদের মার্কশিট কুষ্টিয়ায় বিলের পানিতে ডুবে ফুফু-ভাতিজির মৃত্যু জ্বালাপোড়া আর যন্ত্রণায় এখনো কাতরান রেজাউল মুন্সি চীনের নতুন ৬টি স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ দ্রুত উইকেট হারানোর চাপ নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগে উত্তাল দীঘিনালা : নিহত ৩ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ সদর দফতর আজ বিকেল থেকে চলবে মেট্রোরেল, খুলছে কাজীপাড়া স্টেশনও

সকল