নবীন আইনজীবীদের ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ঢাকা জজকোর্ট শাখার সংবর্ধনা

বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল জজকোর্ট শাখার উদ্যোগে আজ রোববার বেলা ৩টায় ‘২০২২ সালের বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নবীন আইনজীবীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের উপদেষ্টা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

ল'ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুবকর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট আজমত হোসাইন, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল, অ্যাডভোকেট রেজাউল হক রিয়াজ, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান আনাস, অ্যাডভোকেট ফোরকানুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ফয়েজ উল্লাহ।

নবীন আইনজীবীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আবু বকর, অ্যাডভোকেট ফয়সাল আমিন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট সোনিয়া আক্তার, অ্যাডভোকেট রেজওয়ানসহ বিজ্ঞ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা যে সমাজে বসবাস করছি বর্তমানে তা নানা সমস্যায় জর্জরিত। অন্যায়, অবিচার, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও অশ্লীলতা গোটা জাতিকে গ্রাস করে চলেছে। অপহরণ, ধর্ষণ, গুম, খুন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বিচার প্রার্থীরা আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী মানুষ। এ অবস্থায় দেশে ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও মানবধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, একমাত্র ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আইনের শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে প্রত্যেককে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অধ্যয়নের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার কেস স্টাডি করতে হবে। দক্ষ আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি আমাদেরকে প্রকৃত মুসলিম হতে হবে। একজন মজলুমের দোয়া ও আল্লাহর রহমতের মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। আইনজীবীদের মজলুমের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। অসহায় মজলুমদের কোনো রকম ফি ছাড়াই সেবা দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন সমাজে উপস্থাপন করতে হবে।

অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নবাগত আইনজীবীদের স্বপ্ন দেখা ভুলে গেলে চলবে না। জীবনের এই নতুন ধাপ অতিক্রমের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে নিজের ও আন্দোলনের সামগ্রিক তৎপরতাকে আরো বহুদূরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করতে হবে। প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য অবদান রাখতে হবে।

অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আইন পেশায় এই ধাপ উত্তীর্ণ হওয়া এটা আপনাদের একটি অর্জন মাত্র। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আপনার আইন অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরার সূচনা হয়েছে। এখানে তিনটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সব সময় নিজের কমিটমেন্ট, সিরিয়াসনেস ও নৈতিকতা ধরে রাখতে হবে। যেন মানুষের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।