‘একুশের চেতনায় দেশ গঠনে নিজেদের তৈরি করতে হবে’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫৬
হাজারীবাগ চ্যারিটেবল সোসাইটির আয়োজিত সুন্দর হস্তাক্ষর ও বানান শুদ্ধকরণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ গঠনের জন্য নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর হাজারীবাগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হাজারীবাগ চ্যারিটেবল সোসাইটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নুর নবী মানিক ও সমাজসেবক আব্দুর রহমান, হাসান আল বান্নাসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ৫২-র ভাষা আন্দোলন ছিল নিজ ভাষায় কথা বলার অধিকারের আন্দোলন। ধর্মের ভিত্তিতে ব্রিটিশদের থেকে ভারত ভাগ হলেও পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করেনি। তারা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সাথে বৈষম্যমুলক আচরণ শুরু করে। তারা আমাদের মায়ের ভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বপ্রথম আন্দোলন শুরু করে তমদ্দুন মজলিশ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা এ আন্দোলনে শরিক হয় এবং ডাকসু আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করে। ডাকসুর তৎকালীন জিএস অধ্যাপক গোলাম আযম ডাকসুর পক্ষ থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে স্বারকলিপি পেশ করেন। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মর্মান্তিক ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যে ভাষা রক্ষায় আমাদের ছাত্রজনতা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে কার্পণ্য করেনি সেই ভাষা, সংস্কৃতি আজ বিজাতীয় আগ্রাসনে ক্ষত-বিক্ষত ও জর্জরিত। ইতিহাসে যারা অবদান রেখেছেন তাদের সবার অবদানকে মূল্যায়ন করে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ গঠনের জন্য নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।’
ছাত্রছাত্রীদের সফল জীবন গঠনের জন্য ভালো ছাত্র ও ভালো মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী যারা :
‘ক’ বিভাগ- প্রথম স্থান : হাফসা হাবিব রূপন্তি (চতুর্থ শ্রেণি, ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল), দ্বিতীয় স্থান : নূর-ই-জান্নাত সাফারিন (তৃতীয় শ্রেণি, ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল), তৃতীয় স্থান : নুসরাত জাহান জেরিন (পঞ্চম শ্রেণি, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ)।
‘খ’ বিভাগ- প্রথম স্থান : ফাতেমা তুস সাবা (ষষ্ঠ শ্রেণি, দারুল কোরআন মডেল মাদসারা), দ্বিতীয় স্থান : হাজিদা আমরিন (সপ্তম শ্রেণি, ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), তৃতীয় স্থান : সানিয়া আক্তার (অষ্টম শ্রেণি, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি