১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা দিলো ব্রিটানিয়া ইকোনমিক্যাল সাপোর্ট ট্রাস্ট

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা দিলো ব্রিটানিয়া ইকোনমিক্যাল সাপোর্ট ট্রাস্ট। - ছবি : সংগৃহীত

স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় থেকে বিগত ৫১ বছর বাংলাদেশের গরীব অসহায়দের চিকিৎসা সেবায় অবদান ও ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ‘জাতীয় ওষুধ নীতি’ ঘোষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেছে লন্ডন ভিত্তিক সংগঠন ‘ব্রিটানিয়া ইকোনমিক্যাল সাপোর্ট ট্রাস্ট‘।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ধানমন্ডির বাসভবনে তার হাতে লন্ডন ভিত্তিক ওই সংগঠনের পক্ষে ক্রেস্ট তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী ও নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর আব্দুল নকীব, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

ক্রেস্ট প্রদানের সময় লন্ডন ভিত্তিক সংগঠন ‘ব্রিটানিয়া ইকোনমিক্যাল সাপোর্ট ট্রাস্টের সভাপতি ও অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ কমিউনিটি ইউকের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা অ্যাডভোটেক আব্দুল হালিম বেপারী বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় থেকে আরম্ভ করে নিরলসভাবে দীর্ঘ ৫১ বছর দেশের গরীব অসহায়দের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তিনি শিক্ষা, চিকিৎসা, গরীব অসহায়দের সাহায্যের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দেশের জনগণের পাশে থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী সাহায্য করেছে। তার অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যারা প্রবাসে থাকি তারা বুঝতে পারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মানবতার ইতিহাস তাকে বাদ দিয়ে লেখা যাবে না। তার ঐতিহাসিক বই ‘দ্য পলিটিক্স অব এসেনশিয়াল ড্রাগস : দ্য মেকিং অব এ সাকসেসফুল হেলথ ট্রাজেডি: লেসনস ফ্রম বাংলাদেশ (১৯৯৫)’ সারা পৃথিবীর চিকিৎসা সেবার অসামান্য বই। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’

এ সময় অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী সোমালিয়া, নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের উৎপাদিত উন্নত মানসম্মত ওষুধ সুলভমূল্যে রফতানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

ব্রিটানিয়া সংগঠন তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে গণস্বাস্থ্যের ওষুধ ক্রয় করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের গরীব অসহায়দের মাঝে ফ্রি বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী আগামী জুন মাসে লন্ডনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তার সহধর্মিণী শিরিন হককে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানান।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটানিয়া ইকোনমিক্যাল সাপোর্ট ট্রাস্ট সংগঠন আমাকে যে সম্মান দিয়েছে। আমি সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী ও সংগঠনের সকল কর্মকর্তাকে আমার ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সম্মিলিতভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন প্রয়োজন দেশে ও প্রবাসে সবাই মিলে ব্রিটানিয়া ইকোনমিক্যাল সাপোর্ট ট্রাস্ট সংগঠনের মত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। এতে বাংলাদেশের জনগনের স্বপ্ন পূরণ হবে। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী সোমালিয়াসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে গণস্বাস্থের ওষুধ রফতানির যে উদ্যোগগ্রহণ করেছেন, তা সফল হলে ওষুধ রফতানিতে আমরা বিশ্বে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবো। আমাদের ওষুধ বিশ্বমানের এবং ভারতের চেয়ে দাম কম।’

(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)


আরো সংবাদ



premium cement