১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘লেখক-সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রকে সঠিক পথনির্দেশনা দিতে পারেন’

ডিএসইসি আয়োজিত লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠানে খায়রুজ্জামান লিটন
‘লেখক-সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রকে সঠিক পথনির্দেশনা দিতে পারেন’ - ছবি : নয়া দিগন্ত

আধুনিক বিশ্বে লেখক-সাংবাদিকরা রাষ্ট্রকে সঠিক পথনির্দেশনা দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) আয়োজিত ‘লেখক সম্মাননা-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ৫০ জন লেখককে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, সনদ ও বিভিন্ন পুরস্কারসহ উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। প্রায় পাঁচ শতাধিক লেখক ও সাংবাদিকের পদচারণায় মুখরিত ছিল অনুষ্ঠানস্থল।

এ সময় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ’সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি সব। কোথায় কী হলো, কী হচ্ছে কিংবা কী হওয়া উচিত। অনেক সময় এমন শুনি, সাংবাদিকদের বলা হয়, আপনি এটি লিখবেন, ওটা লিখবেন না। হুকুম দেয়া হয়, এটি বলা যাবে, এটি বলা যাবে না। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব। এখন বিদেশ থেকে এলেই সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের সাথে বসে কথা বলেন।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার কারণে আওয়াজ আমরা তুলতে পারি না। অকপটে আমি স্বীকার করি। সেই আওয়াজ আপনারা তুলবেন এই আশা আমি করি। আমরা জানি আপনাদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়। এরপরও আপনাদের আপসহীন লেখা ও সংবাদ সমাজ এবং রাষ্ট্রকে পথ দেখায়।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা কথা বলেন এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখেন।’

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, ‘যারা সাংবাদিকতা করতে আসেন, তারা মনে করেন তারা সাংবাদিক হয়ে সমাজ-দেশের জন্য কাজ করবে। শোষিত-নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর হবে। আসলে কি তাদের স্বাধীনতা আছে? পরাধীনতার বেদনা তাদের আছে।’

লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় ও কোষাধ্যক্ষ কবীর আলমগীর, সভাপতিত্ব করেন মামুন ফরাজী।

আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ও আকতার হোসেন, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোতাসিম বিল্লাহ, কে এম শহীদুল হক, কায়কোবাদ মিলন, নাসিমা আক্তার সোমাসহ অনেকে।

বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন-
কবিতায়: অতনু তিয়াস, আলমগীর নিষাদ, সুরাইয়া ইসলাম, পুলক হাসান, আব্দুর রহমান মল্লিক, মু আ কুদ্দুস, মোহসিন হোসাইন, চৌধুরী ফেরদৌস, দীপক ভৌমিক।

গল্প/উপন্যাসে: শান্তনু চৌধুরী, ইমন চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল আহমেদ টিপু, রনি রেজা, সাবিরা ইসলাম, আবুল হোসেন খোকন, তানভীর আলাদীন, হোসন শহীদ মজনু, ইব্রাহীম খলিল জুয়েল, শামীম ফেরদৌস, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল হক জাহাঙ্গীর, সাইফ বরকতুল্লাহ।

ইতিহাস গবেষণায়: কাজী আলিম উজ জামান, দীপংকর গৌতম, মুস্তফা মনওয়ার সুজন, মোহাম্মদ নূরুল হক, অঞ্জন আচার্য, কায়কোবাদ মিলন, আহমেদ মতিউর রহমান, মুতাছিম বিল্লাহ, রীতা ভেীমিক, জাকির আবু জাফর, শরীফ আব্দুল গোফরান।

শিশুসাহিত্যে: মনসুর হেলাল, আশিক মুস্তাফা, অদ্বৈত মারুত, মামুন রশিদ।

অনুবাদ: প্রমিত হোসেন, সাহাদত হোসেন খান, মলয় পাঁড়ে।

ভ্রমণ/বিজ্ঞানে: আসিফ, জাহাঙ্গীর সুর, সুমন ইসলাম, কাজী রফিক।


আরো সংবাদ



premium cement