সাংবাদিককে হেনস্থায় জড়িতদের শাস্তির দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের

রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় লাইভ চলাকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়া ও হেনস্থার ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ।

সোমবার বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন এবং ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের বাধা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রোববার বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের খবর কভার করতে সাংবাদিকরা জাতীয় সংসদে যান। এ সময় নাগরিক টিভির প্রতিবেদক সাইদ আরমান সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় দুপুর ২টার সংবাদে লাইভ দেয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তিনি ওই সাংবাদিককে পুলিশ বক্সে আটকে রাখার চেষ্টা করেন এবং তাকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর কথা বলেন। এ ঘটনা নাগরিক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে। যা দেখে বিবেকবান যে কেউ বিস্মিত ও আতঙ্কিত হবেন।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা নানা নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালাকানুনের খড়গ, অন্যদিকে প্রভাবশালীদের মামলা হামলার হুমকির মতো প্রতিকূল পরিবেশে স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের মারমুখী ও জবরদস্তিমূলক আচরণ গোটা সাংবাদিক সমাজকে আহত করেছে।

নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসাথে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।