বাংলাদেশী নাবিকদের ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ক্রয়ের অনুমতি পুনর্বহালের দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৫৮
বাংলাদেশী নাবিকদের ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ক্রয়ের অনুমতি পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) নেতৃবৃন্দ। একইসাথে তাদের প্রাপ্য সুবিধাগুলো প্রদানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিএমএমওএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
তারা বলেন, পুরোপুরি অযৌক্তিকভাবে রেমিট্যান্স উপার্জনকারী ‘ওয়েজ আর্নার্স’ মেরিনারদের জন্য তাদের ন্যায্যভাবে প্রাপ্ত এ সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যা ১৮ হাজার নাবিক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর রাষ্ট্র হারাচ্ছে এক বিশাল রেমিট্যান্স।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো: আনাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন গোলাম মহিউদ্দিন কাদরি, সহ-সভাপতি চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো: মাহবুবুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো: গোলাম জিলানি, কোষাধ্যক্ষ মো: আলী হোসাইন, কার্যকরী পরিষদের সদস্য চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবু সাইদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো: মাহবুবুর রহমান সমুদ্রগামী জাহাজের মেরিন অফিসারদের ‘ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড’ ক্রয়ের অনুমতির পুনঃব্যবস্থাকরণ বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মেরিনাররা শুরু থেকেই (১৯৮৮ সাল) এ বন্ড ক্রয় করতে পারতেন। সব রেমিট্যান্স আর্নাররা এমনকি বাংলাদেশ সরকারের বেতনভুক্ত বিদেশী মিশনের কর্মকর্তারাও এ বন্ড ক্রয় করতে পারছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, পুরোপুরি অযৌক্তিকভাবে রেমিট্যান্স উপার্জনকারী ‘ওয়েজ আর্নার্স’ মেরিনারদের জন্য তাদের ন্যায্যভাবে প্রাপ্ত এ সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা মেরিনারদের ‘কি ওয়ার্কার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করছে। যদিও বাংলাদেশ মেরিনারদের ‘কি ওয়ার্কার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তথাপি আমাদের দেশে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বদলে প্রাপ্ত ন্যায্য সুবিধা কেড়ে নেয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখের, কষ্টের ও লজ্জার।
তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ মেরিনার চুক্তিভিত্তিক জাহাজে চাকরি করেন। তাদের কোনো গ্র্যাচুইটি বা পেনশন সুবিধা নেই। ‘ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড’ তাদের অবসরকালীন চলার উপায় মাত্র। তাই বাংলাদেশী মেরিনারদের ‘ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড’ ক্রয়ের অনুমতির পুনঃব্যবস্থাকরণ করে নন-রেসিডেন্ট হিসেবে প্রাপ্য সুবিধাগুলো উপভোগ করতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এর ব্যত্যয় হলে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে ও অব্যবস্থাপনায় দেশে আসার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে অথবা বেতনের বিশাল অংশ বিদেশী ব্যাংকে গচ্ছিত রাখার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।