১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শ্রমিক-সমস্যা সমাধানে ইউনিয়ন নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে : হারুনুর রশিদ খান

শ্রমিক-সমস্যা সমাধানে ইউনিয়ন নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে : হারুনুর রশিদ খান - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, ট্রেড ইউনিয়নের নেতবৃন্দ শ্রমিকদের নির্বাচিত নেতা। নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হচ্ছে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করা। শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে সর্বপ্রথম ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার বগুড়ার একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, অধ্যাপক আব্দুল মতিন, রংপুর মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট কাওসার আলী, বগুড়া শহর সভাপতি আজগর আলী, গাইবান্ধা জেলা সভাপতি নুরুন্নবী প্রধান, ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি মতিউর রহমান, বগুড়া জেলা পূর্বের সভাপতি কাজী আবুল কালাম, বগুড়া জেলা পশ্চিমের সভাপতি মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, শ্রমিকরা আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রে সবচেয়ে অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষ। তাদের ওপর চলা শোষণ-নির্যাতন দূর করা ইউনিয়ন নেতাদের প্রধান দায়িত্ব। শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা ও বিনোদন নেতাদের নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকরা তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী ন্যায্য মজুরি পায় কিনা তার খবর নেতাদের রাখতে হবে। যদি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে তাহলে ন্যায্য মজুরি আদায়ে ইউনিয়নের নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে। মালিকপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সকল দাবি আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। যদি মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি না মানেন তাহলে উপযুক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায় করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিকপন্থা অবলম্বন করতে হবে।

তিনি বলেন, ইউনিয়নের নেতাদের মনে রাখতে হবে তাদের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে। তাই নেতা হওয়ার পর শ্রমিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভুলে গেলে চলবে না। যারা নেতা হওয়ার পর শ্রমিকদের ভুলে যান তাদেরকে পরবর্তী নির্বাচনে শ্রমিকরাও ভুলে যায়। সুতরাং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শ্রমিকদের সেবায় নিজেদের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে দিতে হবে। শ্রমিকদের নিজের আপনজন মনে করতে হবে। তাদের পরিবারকে নিজের পরিবার-পরিজন মনে করতে হবে। তাহলে আর শ্রমিকদের সাথে দূরত্ব তৈরি হবে না।

তিনি আরো বলেন, এই দুনিয়ার একদিন শেষ আছে। সেই দিন মানুষের দুনিয়ার সকল হিসাব নেয়া হবে। আজকে যারা শ্রমিকদের আপনজন তারা যদি খোদাভীতি ও ঈমানের সাথে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করে, কাল কেয়ামতের ময়দানে তারা আল্লাহরও আপনজন হবে। তাই ইউনিয়নের নেতাদের ভালো নেতার হওয়ার সাথে ভালো মানুষ তথা সাচ্চা মুসলমান হতে হবে। দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় জায়গায় সফলকাম হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
‘বিজয়কে নস্যাৎ ও বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে আ’লীগ’ বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠন করতে চায় জামায়াত : দেলোয়ার হোসাইন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড গাজীপুরে নির্ধারিত সময়ের আগেই বেতন পেল টিএনজেড কারখানার শ্রমিকরা আ’লীগ নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রানা প্লাজার ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা বগুড়ার সেই ছেলে মাকে খুন করেনি! নারীসহ গ্রেফতার ৩ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, ঝাড়খণ্ডে আটকে গেলেন মোদি বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে ইপিএ স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ-জাপান ইরানের ২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

সকল