সাংবাদিকদের মারধর ও হুমকির ঘটনায় বিএফইউজের উদ্বেগ ও নিন্দা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ আগস্ট ২০২২, ১২:২৫
ঢাকায় বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের দুই সাংবাদিককে মারধর এবং রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে আসা ৫ সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
নেতৃবৃন্দ দুটি ঘটনাকে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি উল্লেখ করে অবিলম্বে দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
আজ বুধবার (০৩ আগস্ট) বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, মেডিক্যালের যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহের জন্য মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা এলাকায় গিয়ে মারধরের শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও ক্যামেরা পারসন আজাদ আহমেদ। দুর্বৃত্তরা দু’জনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর ছাড়াও সাথে থাকা ভিডিও ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়। কর্ডলেস মাইক্রোফোনও ভাঙচুর করা হয়। ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ মুছে দেন তারা। অনিয়মের সব ডকুমেন্ট রেখে দিয়ে দুই সংবাদকর্মীকে ছেড়ে দেন। সেখান থেকে বের হয়ে আহতরা সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
অন্যদিকে একই দিন রংপুর আদালতে ৫ সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন সুন্দরগঞ্জের সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকার। হুমকি পাওয়া সাংবাদিকরা হলেন যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশ, কালের কণ্ঠের সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি শেখ মামুন-উর রশিদ, ভোরের দর্পণের প্রতিনিধি শামসুল হক, দৈনিক জনসংকেতের প্রতিনিধি আবু জাহিদ কারী ও মানবাধিকারকর্মী মাহাবুবার রহমান।
জানা গেছে, পিআইওর করা একটি মানহানির মামলায় মঙ্গলবার চার্জ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় হাজিরা দিতে আসেন সাংবাদিকরা। বিচারক না থাকায় মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য হয় ৩১ অক্টোবর।
সাংবাদিকরা আদালত ভবনের নিচে নেমে ক্যান্টিনের সামনে এলে সেখানে থাকা বাদী পিআইও নুরুন্নবী সরকার তাদের গালাগাল শুরু করেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘটনা দুটি বিচ্ছিন্ন হলেও এর মধ্য দিয়ে দেশের সাংবাদিকতার পরিবেশ স্পষ্ট হয়েছে। একদিকে নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সরকার গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরার অপচেষ্টা করছে। অন্যদিকে পেশীশক্তির মাধ্যমে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে রুদ্ধ করতে চাইছে।
প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণেই সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি