গণমাধ্যমকর্মী আইন কার্যকর হলে সংবাদমাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে : এম আবদুল্লাহ
- বগুড়া অফিস
- ২৬ এপ্রিল ২০২২, ২০:৫০, আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ২১:০৪
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজৈ) সভাপতি এম আবদুল্লাহ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলি) আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সাংবাদিকবান্ধব আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইন পাশ ও কার্যকর হলে সংবাদমাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার বগুড়া শহরের করতোয়া মিলনায়তনে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলি) আইনের বিষয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজৈ) সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিক সমাজ তাদের মান-মর্যাদা ও স্বার্থ পরিপন্থী প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রত্যাখ্যান করছে, আইনটি সংসদ থেকে ফেরত আনতে হবে। তা না হলে সাংবাদিকদের সুরক্ষার নামে সরকার ও মালিকদের নিপীড়নের নতুন এ হাতিয়ার সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মির্জা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গণেশ দাসের সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, এফ শাহজাহান, মোমিনুর রশিদ সাইন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল, আব্দুল ওয়াদুদ।
এম আবদুল্লাহ বলেন, সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব বলছে যে নতুন আইনের দরকার নেই। তাদের সাথে আমরা একমত নই। সংবাদপত্র, টিভি, রেডিও, অনলাইন, এমনকি ইউটিউবসহ সকল সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও কর্মীদের স্বার্থে যুগোপযোগী আইনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ওই আইন হতে হবে সাংবাদিকদের মান-মর্যাদা, আর্থিক ও পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন, সাংবাদিকদের স্বার্থ সুরক্ষার পরিবর্তে সর্বস্তরের সংবাদকর্মীদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করবে। বিদ্যমান অনেক সুবিধা কেড়ে নেবে। ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার থাকবে না। সম্পাদক থেকে শুরু করে যে কাউকে যখন তখন চাকরিচ্যুত করা যাবে। ডাক্তারের একটি সার্টিফিকেট বা অসদাচরণের ঠুনকো অভিযোগে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতির সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন এ কালাকানুনে।
বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, সাংবাদিক সমাজ কালো আইন চায় না, ভালো আইন চায়। যেকোন কালো আইন সাংবাদিক সমাজ প্রতিহত করবে।
সমাবেশ শেষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।