শুধু সংলাপ নয়, ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি টিআইবির
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৪৯
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদপূর্তির আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ যে সংলাপ শুরু করেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে যথেষ্ট নয়। শুধু সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন পদ্ধতিতে ইতোপূর্বে কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক ফল আসেনি। তাই নির্দলীয়, সৎ ও গ্রহণযোগ্য ইসি নিয়োগে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে আমরা জেনেছি যে নতুন ইসি গঠনে আজ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেন, তা নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো তাগিদ বা উচ্ছ্বাস নেই। দলগুলোর নীতিনির্ধারকরাও মনে করছেন না যে এই সংলাপে ইসি গঠনে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব কিংবা নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন বিষয়ে ইতিবাচক কোনো আলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে, অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এই ধরনের সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি করে গঠিত ইসি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চূড়ান্তরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা মনে করি, এই সংলাপের ফল যাই হোক না কেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি সকলের প্রত্যাশা- দেশের আপামর জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনে অবিলম্বে কার্যকর ভূমিকা নেয়া।’
ইসি গঠনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অবিলম্বে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে নির্বাহী পরিচালক বলেন, “২০১২ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপের পর গঠিত দুটি নির্বাচন কমিশনই ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হলেও, তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। কিন্তু একটি প্রকৃত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন আইন গঠন এবং সেই আইন অনুযায়ী ইসি নিয়োগের বিকল্প নেই। যাতে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব এমন ব্যক্তিবর্গের হাতে অর্পিত হয় যারা নির্দলীয়, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সৎসাহসের অধিকারী হবেন। এবং যার ফলে সত্যিকারের নির্দলীয়, সৎ, নিরপেক্ষ ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের ‘নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের স্বাধীনতা’ প্রয়োগের অধিকার এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের অবাধ ও নিরাপদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার অধিকার অর্জিত হয়।”
নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ডে ইসি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ভূমিকা নিশ্চিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবারই নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবেন- প্রত্যাশা টিআইবির। পাশাপাশি, জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনসমূহ পর্যবেক্ষণের জন্য শুধু নির্বাচনের দিনেই নয়, বরং মনোনয়ন জমা দেয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে স্বাধীন ও নির্দলীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের মুক্ত ও অবাধ উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবিও জানায় সংস্থাটি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি